রাজশাহী নগরের ঘোড়ামারা মোড়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন এক দোকান ব্যবস্থাপক। পথেই তাঁর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ছিনতাইকারীরা লুটে নেয় ১০ লাখ টাকা। এ কাজে রিকশাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছিনতাইকারী চক্রটি এক মাস ধরে ওই দোকান ব্যবস্থাপকের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালিয়েছিল। রিকশা চালককে প্রশিক্ষণও দিয়েছে তারা। গ্রেপ্তার রিকশা চালকের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার রিকশা চালক মাসুম (৩০)। ভুক্তভোগী দোকান ব্যবস্থাপকের নাম দিলীপ কুমার প্রামাণিক।

আরো পড়ুন: রিকশা যাত্রীর চোখে মরিচ ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই 

আরো পড়ুন:

গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ

পরকীয়ার জের, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা

জবানবন্দিতে মাসুম জানান, চক্রটির পরিকল্পনায় তিনি যুক্ত হন অনেক আগে। রিকশা কোন পথে চালাতে হবে, কোথায় থামতে হবে-তা পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এমনকি ঘটনার আগে একাধিকবার মহড়াও হয়।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “ঘটনার আগে গত রবিবার মাসুম রিকশা নিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন, কিন্তু দিলীপ তার রিকশায় ওঠেননি। ফলে সেইদিন ছিনতাই হয়নি। এক সপ্তাহ পর পরিকল্পনামাফিক ছিনতাই সফল হয়।”

পুলিশ জানায়, ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রিলায়েন্স অটো নামে একটি দোকানের ব্যবস্থাপক দিলীপ কুমার প্রামাণিক শিরোইল বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল আগের দুই দিনের পণ্য বিক্রির ১৩ লাখ টাকা। দিলীপ কুমার প্রামাণিক মাসুমের রিকশায় ওঠেন। রিকশাটি ঘোড়ামারা এলাকায় গিয়ে একটি সরু গলির দিকে মোড় নেয়। সেখানেই মোটরসাইকেলে করে আসা দুই ব্যক্তি রিকশার গতিরোধ করেন। একজন মরিচের গুঁড়া দিলীপের চোখে ছিটিয়ে দেন। 

ছিনতাইকারীরা তার পিঠে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। দিলীপ তাদের বাধা দেন। ধস্তাধস্তির সময় দিলীপের ডান হাতের কনুই ও বাঁ হাতের আঙুল কেটে যায়। ব্যাগ থেকে প্রায় আড়াই লাখ পড়ে যায় রাস্তায়। বাকি টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে দ্রুত সটকে পড়ে ছিনতাইকারীরা।

ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “চক্রটি জানত, শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় দোকানের বিক্রির টাকা দিলীপের বাসায় থাকে এবং রবিবার সকালে তিনি সেগুলো নিয়ে বের হন। সেই তথ্য ধরে তারা ফাঁদ তৈরি করে।” ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই অভ য গ ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ