লিটন-এনামুলের রেকর্ড এখন জাওয়াদ–আজিজুলের, সমতা আনল যুবারা
Published: 28th, April 2025 GMT
শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম ওয়ানডেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং লাইন আপ। কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে গত শনিবার লঙ্কান যুবাদের দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা, হেরেছিল ৯৮ রানে।
কিন্তু এই বাংলাদেশ কেন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন, সেটা প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নিল না। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ছয় ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনল আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন দল।
বাংলাদেশ পেসার আল ফাহাদের তোপে ৪৮.
১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৬ বলে ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন জাওয়াদ। তাঁর সঙ্গে আজিজুল ৮৯ বলে ৬৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দুজন ১৮০ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। এখন এটাই যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। জাওয়াদ ও আজিজুল আজ ভেঙেছেন লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ের প্রায় ১৩ বছর পুরোনো রেকর্ড। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ২০১২ সালে টাউন্সভিলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন।
জাওয়াদ আজ এককভাবেও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। তাঁর ১৩০ রানের মধ্যে ৯২-ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে, যা যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্য সর্বোচ্চ।
লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ের প্রায় ১৩ বছর পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিমউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ জ ল র কর ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।