চা-বিরতির ঠিক আগে থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান সাদমান ও মুমিনুলকে ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওভারের শেষ বলে মুমিনুল (৩৩) নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। পরের ওভারের প্রথম বলে বেনেট এলবিডব্লিউ করেন সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকে (১২০)। চার বিরতির আগে প্রথম ইনিংসে ৫৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত ২ ও মুশফিকুর রহিম ৯ রানে ক্রিজে আছেন। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছে।

মুমিনুলের পর সাদমানকেও হারাল বাংলাদেশ

ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফিরলেন মুমিনুল। তার বিদায়ের পরের বলেই সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকেও হারাল বাংলাদেশ। বেনেটের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফেরার আগে ১৮১ বলে ১২০ রান করেন সাদমান। তার ইনিংসে ছিল ১৬টি চার এক ছক্কা। ক্রিজে এখন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক ও শান্ত। ৫৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯৬। এখনও ৩১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

সাদমানের সেঞ্চুরি, দেড়শ’তে বাংলাদেশ

টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাদমান। শুরু থেকেই ইতিবাচকভাবে খেলা সাদমান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪২ বলে, ১৬টি চারের সৌজন্যে। টেস্টে দুই সেঞ্চুরির সাথে ৫টি ফিফটি এখন তার। হারারেতে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাদমান, সেটি প্রথম শতক। এদিকে আজ টেস্টে হাজার রানের মাইলফলকেও পা রেখেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।  চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের ২২তম টেস্টে নামার আগে ৪১ ইনিংস খেলে হাজার থেকে ৬১ রান দূরে ছিলেন তিনি। 

৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৫০। ১৪৫ বলে ১০১ রানে খেলছেন সাদমান। ২৭ বলে মুমিনুল হকের রান ৯।

এনামুলের বিদায়ে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি

লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ১ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরলেন এনামুল হক বিজয়। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন, রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে ৮০ বলে ৩৯ রান করেন এনামুল। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মুমিনুল। ৩৩ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ রান।

বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ