স্টিকারবিহীন যান সচিবালয়ে প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত
Published: 30th, April 2025 GMT
স্টিকারবিহীন সব প্রকার যানবাহন সচিবালয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এছাড়া যেসব গাড়ির স্টিকারের (আয়তাকার) মেয়াদ শেষ হয়েছে সেগুলোর প্রবেশ বন্ধেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব গাড়ির জন্য নতুন স্টিকার নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পূর্বে ইস্যু করা গাড়ির স্টিকার (আয়তাকার) যার মেয়াদ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সে সব স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং স্টিকারবিহীন সব প্রকার যানবাহন সচিবালয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, যে সব গাড়ির স্টিকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তা পরিবর্তন করে বর্তমানে ইস্যুকৃত (গোলাকার) স্টিকার নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন ধ র র জন য প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।