হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর ৭ দিন রিমান্ড
Published: 30th, April 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে এই মামলায় সিদ্দিকুরকে আদালতে হাজির করে তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহজাদপুরে রিকশাচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ জব্বরকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। জব্বরকে গুলি করে জখম করার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য সিদ্দিকুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
সিদ্দিকুরকে রিমান্ডে নেওয়ার এই আবেদনটি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম।
গতকাল মঙ্গলবার সিদ্দিকুরকে মারধরের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় সিদ্দিকুরকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে একদল যুবক। এ সময় কেউ কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন সিদ্দিকুর। ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে স্লোগান দিচ্ছিল লোকজন। জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিকুরকে রমনা থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সিদ্দিকুরকে গুলশান থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।