এমন স্কোরবোর্ড বাংলাদেশ শেষ কবে দেখেছে? দলের রান ৪৪৪। ওপেনার সাদমান সেঞ্চুরি করেছেন। সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

আউট হওয়া ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে এক অঙ্কে আউট হয়েছেন দুজন, বাকি আটজনের মধ্যে সর্বনিম্ন রান তাইজুল ইসলামের ২০। তবে এমন স্কোরবোর্ডে খুশি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। এমন কিছু সামনে তিনি দেখতেও চান না।

টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটে থিতু হলে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা আরও বাড়ে। বড় ইনিংস খেলতে পারলে দলকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। নাজমুল তাই থিতু হয়ে আউট হওয়াতে অখুশি। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৪৪ রান করে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবু ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচের পর কিছুটা আক্ষেপই ঝরল নাজমুলের কণ্ঠে, ‘অধিনায়ক হিসেবে স্কোরবোর্ড কখনো আমি এ রকম চাই না। যদি এ রকম না হয়ে, দুজন রান না করে সাদমান ২০০, আমি ১০০, মুশফিক ভাই ১৫০ করতেন তাহলে আরও বেশি খুশি হতাম।’

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দুই সেঞ্চুরিয়ান—সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ অবশ্য পরে বল হাতে ৫ উইকেটও নিয়েছেন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক রব র ড

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ