মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চরবানিয়াল মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দু’জন হলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম মর্তুজা সরকার এবং তাঁর ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু। 

গতকাল বুধবার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে গিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ চালু রাখার সত্যতা পেয়েছে সদর থানা পুলিশ।

জানা গেছে, বাংলাবাজারের চরবানিয়াল মৌজায় ১৮৬ শতাংশ জায়গার মালিক দেলোয়ার হোসেন গং। ওই সম্পত্তির দখল নিয়ে বিএনপি নেতা মর্তুজা ও মোয়াজ্জেম পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এতে আদালতের দ্বারস্থ হন দেলোয়ার। গত মঙ্গলবার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সেখানে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু বিএনপির দুই নেতা বুধবার সকাল থেকে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৈতৃক সূত্রে তিনি এ জায়গার মালিক। এর মধ্যে তাঁর শরিকের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ জমি কিনেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা। অথচ তাঁর সম্পত্তিতে তারা জোর করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। গোলাম মর্তুজার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এ নির্মাণকাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বাবু বলেন, জায়গাটির মালিক তারা। ১৭ বছর ধরে তারা এ জায়গা ভোগ দখল করছেন। তাই তারা এ জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শিগগির এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ