চট্টগ্রামে সোয়া ৪ কোটি টাকার মদ ও বিয়ার উদ্ধার
Published: 3rd, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ ও বিয়ারের বড় চালান আটক করেছে কোস্ট গার্ডের পূর্ব জোনের সদস্যরা। এ সব মদ ও বিয়ারের মূল্য প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা।
আজ শনিবার (৩ মে) সকালে হালিশহর ডগির খাল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বড় এই চালান আটক করা হয়।
কোস্ট গার্ডের পূর্ব জোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল চট্টগ্রামের হালিশহরের ডগির খাল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কয়েকজন ব্যক্তিকে একটি ডেনিশ বোট হতে সন্দেহজনক কিছু বস্তা নামাতে দেখা যায়। এ সময় তাদের থামার সংকেত দিলে তারা বোট এবং বস্তাগুলো জঙ্গলে ফেলে প্যারাবন দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ট্রেনে বিজিবির অভিযান, কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
‘তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ মৃত্যু, এসডিজি অর্জনে বড় বাধা’
পরে বোট এবং খালের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় আনুমানিক ৪ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ৫৬ ক্যান হাইনেকেন অরিজিনাল বিয়ার, ১ হাজার ১৬১ বোতল বিদেশি মদ এবং ৪ বোতল টুইন ভ্যালি অলিভ ওয়েল উদ্ধার করা হয়।
মাদক পাচার রোধকল্পে কোস্ট গার্ডের এরূপ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: চেরনোবিলের মতো বিপর্যয় হবে না
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ হলেও চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এগুলো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এ ধরনের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা চেরনোবিল বা ফুকুশিমার মতো ভয়াবহ ‘পারমাণবিক দুর্ঘটনা’ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে না। এর কারণ হলো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন) ঘটে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরে ইউরেনিয়ামের পরমাণু বিভাজিত হয়ে ফিশন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে এবং তাতে তৈরি হয় অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য।
অন্যদিকে, সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো শুধু ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি হিসেবে প্রস্তুত করে, সেখানে শক্তি উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া চলে না।
ব্যাঙ্গোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক উপাদান বিশেষজ্ঞ সায়মন মিডলবার্গ বলেন, যদি কোনো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা মারা হয়, তাহলে ভেতরের ইউরেনিয়াম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজেই এ ক্ষতি হবে স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ এবং একমাত্র আশপাশের একটি ছোট এলাকা ছাড়া কোনো বিস্তৃত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হবে না।
রয়টার্স জানায়, ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম একমাত্র প্রচলিত অস্ত্র হচ্ছে মার্কিন ‘বাঙ্কার-ব্লাস্টার’ বোমা। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়লে সংঘাত পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই ইরানের সন্দেহভাজন পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় শক্তিশালী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে?
বিকিরণ ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেললেও এর ব্যাপক বিকিরণ দূষণের আশঙ্কা কম।
ইরানের ‘ফোরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট’ নামের এই রহস্যময় স্থাপনা পাহাড়ের গুহায় নির্মিত এবং এখানে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে এখানে ইউরেনিয়াম সাধারণত ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড নামক গ্যাস আকারে থাকে।
এ গ্যাস অণু তুলনামূলক বড় ও ভারী হওয়ায় এটি অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এমিলি ক্যাফ্রি। তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে বিকিরণ বা দূষণ ওই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।