দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় শিয়াল মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে উম্মে হাবিবা (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের শালগ্রাম গ্রামের একটি হাঁসের খামারের পাশে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।

উম্মে হাবিবা ওই গ্রামের হাবিজুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে শালগ্রামের পুড়ইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে এলাকায় ঝড় হয়। এ সময় হাবিবা বাড়ির পাশে একটি আমগাছের নিচে আম কুড়াতে যায়। তবে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও সে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত আটটার দিকে স্থানীয় লোকজন মাহফুজার রহমানের হাঁসের খামারের পাশে শিয়াল মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় হাবিবার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

করমজলে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৫ বাচ্চার জন্ম

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মহাবিপন্ন বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে।

সোমবার (৫ মে) সকালে ডিম থেকে বাচ্চাগুলো ফুটে বের হয়। পরে সেগুলোকে কেন্দ্রের কচ্ছপ সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়েছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রজনন কেন্দ্রের একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ ৮২টি ডিম দেয়। সেগুলো বালুর নিচে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সোমবার সকালে ৬৫টি বাচ্চা ডিম থেকে ফুটে বের হয়। বর্তমানে এসব বাচ্চাকে প্যানে রেখে লালন-পালন করা হচ্ছে। পরে এসব কচ্ছপকে বড় পুকুরে স্থানান্তর করা হবে।

আরো পড়ুন:

সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ‘শিল্প বা প্রকল্প নয়’

সুন্দরবনে আগুন লেগে সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত

তিনি আরো জানান, করমজলে ২০১৪ সালে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে মাত্র ৮টি কচ্ছপ নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ৫২১টি ডিম থেকে মোট ৪৭৫টি কচ্ছপ বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে এই প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫৮টি বাটাশুর বাসকা কচ্ছপ রয়েছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ