মেট গালায় শাহরুখকে চিনলেন না উপস্থাপক, নিজেই দিলেন পরিচয়
Published: 6th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের মর্যাদাপূর্ণ মেট গালায় লাল কার্পেটে হেঁটে, যেন এক ইতিহাস লিখলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ‘টেইলর্ড ফর ইউ’ এবং ‘সুপারফাইন: টেইলরিং ব্ল্যাক স্টাইল’ থিমে, সব্যসাচী মুখার্জির পোশাক পরে প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে আয়োজনে বিস্মিত করলেন কিং খান!
ডিজাইনারের মতে, শাহরুখ ‘তাসমানিয়ান সুপারফাইন উলের’ মেঝে পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের লম্বা কোট পরেছিলেন। যার মনোগ্রাম করা ‘জাপানি হর্ন বোতাম’ ছিল এবং ‘দ্য বেঙ্গল টাইগার হেড ক্যান’ পরেছিলেন ১৮ ক্যারেট সোনায় তৈরি, ট্যুরমালাইন, নীলকান্তমণি, পুরানো খনি থেকে কাটা উজ্জ্বল হীরা।’
যদিও গ্ল্যামারের জাঁকজমকের মধ্যেও একটা বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। রেড কার্পেটের সেই মুহূর্ত অবশ্য এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক্স প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক ভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, রেড কার্পেটে দাঁড়িয়ে এক রেড কার্পেট উপস্থাপককে নিজের পরিচয় দিতে হচ্ছে বলিউড বাদশাকে। আসলে ওই উপস্থাপক নাকি শাহরুখকে চিনতেই পারেননি। সেই কারণে মেট গালার তাৎপর্য সম্পর্কে নিজের বক্তব্য রাখতে যাওয়ার আগে রেড কার্পেটে অভিনেতা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন যে, ‘আমি শাহরুখ।’
এই গোটা বিষয়টিকে একেবারে ভাল ভাবে নেননি শাহরুখের ভক্তরা। বিশ্বের সবথেকে বড় তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শাহরুখ, সেই অভিনেতাকে চিনতে না পারার জন্য গ্লোবাল মিডিয়াকে তুলোধনা করেছেন তাঁরা।
শাহরুখ খান এখন ব্যস্ত তার পরবর্তী সিনেমা ‘কিং’-এর শুটিং নিয়ে। এখানে তার মেয়ে সুহানাও অভিনয় করছেন। আরও আছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নান্দাইলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। গত ১৮ জুন থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে সমাবেশের প্রস্তুতিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অন্যদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের মেয়ে ও তিন ইউপি চেয়ারম্যানকে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় রাত্রিকালীন টহল দায়িত্বে ছিল। এ সময় তারা খবর পায় চন্ডীপাশা ইউপির ধুরুয়া গাবতলী ডিএস দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে শলাপরামর্শ করছেন। পরে পুলিশের টহল দলটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পালিয়ে যান।
পরদিন ১৮ জুন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৩৮ জনের নামে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদ। প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসানকে। আসামির তালিকার ১৭ নম্বরে আছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের উপদেষ্টা ও মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রুপার নাম। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে– আওয়ামী লীগ নেতা আচারগাঁও ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, শেরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া ও জাহাঙ্গীরপুর ইউপির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।