আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনীতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম ছেড়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ
Published: 15th, May 2025 GMT
মালয়েশিয়ার লংকাউইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৭তম লংকাউই ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড মেরিটাইম অ্যারোস্পেস এক্সিবিশনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ছেড়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ। ২০ থেকে ২৪ মে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদের কর্মকর্তা ও নাবিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটিকে নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী বিদায় জানানো হয়। এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, স্থানীয় নৌ কর্মকর্তা এবং জাহাজে গমনকারী কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনীতে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক ও নৌবাহিনীর জাহাজ অংশ নেবে। বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম এজাজ মাসুদের নেতৃত্বে ৩৪ জন কর্মকর্তাসহ মোট ২২৯ জন সদস্য এ প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনীতে সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আঞ্চলিক নৌ নিরাপত্তাবিষয়ক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে। একই সঙ্গে নৌ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। মেরিটাইম প্রদর্শনী শেষে ২৯ মে দেশে ফিরবে বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের
ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ
নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।
আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।
ঢাকা/ফিরোজ