যশোরে আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি
Published: 18th, May 2025 GMT
যশোরে আদালত থেকে জুয়েল খান নামে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পালিয়ে যান তিনি।
পালিয়ে যাওয়া জুয়েল খান মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুরা বুনোগাতি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।
আরো পড়ুন:
‘আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা
কুষ্টিয়া সীমান্তে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আদালত সূত্র জানায়, জুয়েল খান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুদোপুর এলাকায় ইজিবাইক চালক আলামিন হত্যা মামলার আসামি। এ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে জুয়েল খান ও হারুন ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
আজ নির্ধারিত শুনানির জন্য তাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের সামনে উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে সোনালী নামে এক কন্সটেবল আসামি জুয়েল খান ও হারুনকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় আদালতের নিচতলার হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় হ্যান্ডকাপ থেকে হাত ছাড়িয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যান জুয়েল খান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, কন্সটেবল সোনালীকে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যশোরের সব এক্সিট পয়েন্টে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আসামিকে ধরতে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, “জুয়েল খানকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস