শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘চাইনিজ কর্নার’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বিষয়ক সম্পদ বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

রবিবার (১৮ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ভবনের নিচতলায় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী, যা সবর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে চা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত, সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি থাকবে ‘ভোট অন টি’ শিরোনামে চা স্বাদ গ্রহণ ও মূল্যায়ন পর্ব, যেখানে চীনা ও বাংলাদেশি চায়ের স্বাদ, ঘ্রাণ ও মান তুলনা করে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত প্রদান করবেন।

আরো পড়ুন:

শাবিপ্রবিতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু জুলাইয়ে

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে ড্রেন

এছাড়াও থাকবে চীনা ভাষার ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, চা সম্পর্কিত বই প্রদর্শনী, দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী চা প্রস্তুত প্রণালীর প্রদর্শনী এবং শোভাযাত্রা।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলার মি.

লি শাওপেং ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ রাগীব আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য তাহসীন আহমেদ চৌধুরী এবং সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি চা-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক মিলনমেলা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে এবং  বাংলাদেশের চা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তির উন্নয়নের দার উন্মোচিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চাইনিজ কর্নারের সমন্বয়ক ড. মো. মাহবুবুল হক বলেন, “এই আয়োজন চা-সংস্কৃতি, কূটনীতি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক মিলনমেলা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন

ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।    

কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই