প্রথমবারের মতো শাবিপ্রবিতে হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চা প্রদর্শনী
Published: 18th, May 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘চাইনিজ কর্নার’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বিষয়ক সম্পদ বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
রবিবার (১৮ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ভবনের নিচতলায় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী, যা সবর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে চা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত, সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি থাকবে ‘ভোট অন টি’ শিরোনামে চা স্বাদ গ্রহণ ও মূল্যায়ন পর্ব, যেখানে চীনা ও বাংলাদেশি চায়ের স্বাদ, ঘ্রাণ ও মান তুলনা করে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত প্রদান করবেন।
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু জুলাইয়ে
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে ড্রেন
এছাড়াও থাকবে চীনা ভাষার ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, চা সম্পর্কিত বই প্রদর্শনী, দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী চা প্রস্তুত প্রণালীর প্রদর্শনী এবং শোভাযাত্রা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলার মি.
বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য তাহসীন আহমেদ চৌধুরী এবং সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি চা-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক মিলনমেলা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের চা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তির উন্নয়নের দার উন্মোচিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চাইনিজ কর্নারের সমন্বয়ক ড. মো. মাহবুবুল হক বলেন, “এই আয়োজন চা-সংস্কৃতি, কূটনীতি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক মিলনমেলা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাস গড়লো ক্রিস্টাল, ম্যানসিটিকে জিতলো প্রথম বড় শিরোপা
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জিতে নিল ক্রিস্টাল প্যালেস। শনিবার (১৭ মে) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত এফএ কাপের ফাইনালে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনো ট্রফি জয়ের আনন্দে মাতল দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি।
ম্যাচের জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ইবেরেচি এজে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে অসাধারণ এক ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এরপর পুরো ম্যাচজুড়ে সিটির একের পর এক আক্রমণ সামলে দুর্দান্ত গোলকিপিং করেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন।
ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। পেনাল্টিও পেয়েছিল তারা। কিন্তু ওমর মারমুশের নেয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
ম্যাচ শেষে গোলদাতা এজে বলেন, ‘‘এটা আমাদের স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। কেউই বিশ্বাস করেনি আমরা পারব। কিন্তু আমরা ইতিহাস গড়েছি।’’ উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুতে আর্সেনালসহ অনেক ক্লাব এজেকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে হেরে হতাশার মৌসুমে শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই প্রথমবার তারা কোনো ঘরোয়া শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করল।
এর আগে ১৯৯০ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল প্যালেস। তবে তৃতীয় চেষ্টায় সফল হলো তারা। আর দলের অস্ট্রিয়ান কোচ অলিভার গ্লাসনার হয়ে গেলেন ইতিহাসে প্রথম অস্ট্রিয়ান কোচ যিনি এফএ কাপ জিতলেন।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য সিটি আক্রমণে ঝড় তোলে। কেভিন ডি ব্রুইনার শেষ ওয়েম্বলি ম্যাচে দারুণ একটি পাস থেকে হালান্ডের শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন। এরপর গভার্দিওলের হেডও ঠেকিয়ে দেন তিনি।
তবে ১৫ মিনিটের মাথায় একমাত্র আক্রমণেই গোল আদায় করে নেয় প্যালেস। মাতেতার পাসে মুনোজের ক্রস থেকে দারুণ এক ভলিতে গোল করেন এজে। এরপর সিটির চাপ আরও বাড়লেও হেন্ডারসনের নেতৃত্বে রক্ষণভাগ ছিল দুর্ভেদ্য।
একবার মনে হয়েছিল, হেন্ডারসন হয়তো বল হাতে নিয়ে গোলবারের বাইরে চলে গিয়েছেন, তবে ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, লাল কার্ডের প্রয়োজন নেই। পেনাল্টিতে সিটি ভরসা রাখে মারমুশের ওপর। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
ম্যাচ শেষে হেন্ডারসন বলেন, ‘‘আমরা আগেই বুঝেছিলাম, আজ আমাদের দিন। আমরা এই জয়ের যোগ্য। আমি জানতাম ও কোন দিকে শট নেবে। আর আমি নিশ্চিত ছিলাম, আমি তা ঠেকাতে পারব।’’
শেষদিকে একাধিকবার গোলের কাছাকাছি গেলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় সিটি। ১০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়েও গোল হয়নি তাদের। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে প্যালেস সমর্থকেরা। স্টেডিয়ামে তখন গর্জে ওঠে ক্লাবের অ্যান্থেম ‘গ্ল্যাড অল ওভার’। এক ঐতিহাসিক দিনে আনন্দে ভাসে ক্রিস্টাল প্যালেস ও তাদের সমর্থকেরা।
ঢাকা/আমিনুল