ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার উত্তর প্রদেশে একজনকে গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও সীমান্ত দিয়ে পণ্য চোরাচালানের অভিযোগে ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) গতকাল রোববার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এক ব্যক্তি পাকিস্তানি সংস্থার মদদে পণ্য চোরাচালান করছেন। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের আন্তবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছিলেন।

গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়ার পর এটিএস ওই ব্যক্তির গতিবিধি নজরে রাখে এবং তাঁকে শাহজাদ নামে চিহ্নিত করে। তিনি উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলার টান্ডা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গতকাল মোরাদাবাদ থেকে শাহজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর এটিএস শাহজাদের বিরুদ্ধে ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও অখণ্ডতা বিপন্নকারী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ বলেছে, তদন্তে জানা গেছে শাহজাদ দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ভারত থেকে পাকিস্তানে যাতায়াত করতেন এবং অবৈধভাবে প্রসাধনী, জামাকাপড়, মসলা ও অন্যান্য সামগ্রী চোরাচালান করতেন। এর আড়ালে তিনি আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করতেন এবং তাদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তিনি ভারতের নিরাপত্তাসংক্রান্ত গোপন তথ্য তাঁদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশ আরও জানায়, আইএসআইয়ের নির্দেশে শাহজাদ ভারতে বসবাসকারী এজেন্টদের কাছে টাকা পাঠাতেন। এ ছাড়া তিনি রামপুরসহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে আইএসআইয়ে নিয়োগ করার কাজে সহায়তা করতেন।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টরাই ওই লোকদের ভিসা ও ভ্রমণের নথিপত্র তৈরি করে দিতেন। শাহজাদ ভারতীয় বিভিন্ন সিম কার্ডও আইএসআইয়ের হাতে তুলে দেন, যাতে তারা ভারতের ওপর নজরদারি করতে পারে।

এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটে, যখন হরিয়ানায় আরেক ঘটনায় ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার জ্যোতি রানিকে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার উত্তর প্রদেশে একজনকে গ্রেপ্তার
  • জিগাতলায় কলেজছাত্র সামিউর হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
  • গুম খুন অপহরণে জড়িতদের বিচার চাইলো ভুক্তভোগী পরিবার