কুমিল্লা মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের দায়ী করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন মো.

মহসিন (৩২), সালাহ উদ্দিন ওরফে রকি (৩০), মো. সোহাগ হোসেন (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং মারুফ আহমেদ (২৪)। অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করেন।

আরো পড়ুন:

পুলিশের ওপর হামলা: খালাস পেলেন সাবেক এমপিসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী

মানিকগঞ্জ জেলা আ. লীগ নেতা কারাগারে

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নগরীর ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়কে বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশে একদল লোক হঠাৎ করে হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। পরে কার্যালয়ের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। হামলায় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বাদী ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করি। এরপরই থানায় মামলা করি। দলের কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেয়া হবে না—দলীয় ও আইনগত উভয়ভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিরোধ ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেছেন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী। তাদের দাবি, ছাত্রদলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিত নেতাদের একটি অংশ এ হামলায় জড়িত থাকতে পারে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/রুবেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে

খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।

হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় না

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।

কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’

পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ