কানের লাল গালিচায় চড়াও ডেনজেল, পরে পেলেন সম্মানজনক পাম ডি’অর
Published: 21st, May 2025 GMT
কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ঘটে গেল এক উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা। স্পাইক লি পরিচালিত নতুন ছবি ‘হাইয়েস্ট ২ লোয়েস্ট’-এর প্রিমিয়ারে হাজির হয়ে এক আগ্রাসী ফটোগ্রাফারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন দুইবারের অস্কারজয়ী অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ডেনজেল হঠাৎ এক ফটোগ্রাফারের দিকে আঙুল তুলে জোরে বলেন, ‘স্টপ!’ অর্থাৎ ‘থামো!’ ওই ফটোগ্রাফার যদিও বিষয়টি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং ডেনজেলের হাতে হাত রাখেন কিন্তু ওয়াশিংটন সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সরিয়ে নেন এবং আবারও একইভাবে বলেন ‘স্টপ!’
কান উৎসবের ফটোগ্রাফারদের মধ্যে তারকাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করার প্রবণতা রয়েছে। তবে এই ঘটনার সময় পরিবেশ বেশ চাপে পড়ে যায় বলে জানা যায়।
এ ঘটনার পরেই অবশ্য রাতটি নতুন মোড় নেয়। ‘হাইয়েস্ট ২ লোয়েস্ট’ ছবির প্রদর্শনীর আগে ডেনজেল ওয়াশিংটনকে একটি অপূর্ব চমক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। তাঁকে প্রদান করা হয় ‘অনারারি পাম ডি’অর’ পুরস্কার।
উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো মঞ্চে উঠে ওয়াশিংটনের ক্যারিয়ারের উপর একটি ভিডিও সংকলন দেখান। যেখানে ‘ম্যালকম এক্স’, ‘মো বেটার ব্লুজ’, ‘গ্লোরি’ ও ‘ট্রেইনিং ডে’ সহ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।
স্পাইক লি-র সঙ্গে এটি ওয়াশিংটনের পঞ্চম চলচ্চিত্র। এই ছবিটি কিংবদন্তী জাপানি নির্মাতা আকিরা কুরোসাওয়ার ১৯৬৩ সালের ক্লাসিক ‘হাই অ্যান্ড লো’-এর ইংরেজি রিমেক। লি এই গল্পকে আধুনিক নিউ ইয়র্ক শহরে স্থানান্তর করেছেন। যেখানে ডেনজেল ওয়াশিংটন অভিনয় করছেন এক সঙ্গীত ব্যবসায়ী চরিত্রে। যিনি এক প্রাণঘাতী মুক্তিপণ চক্রান্তে জড়িয়ে পড়েন।
আগামী ২২ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি। পরে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাপল টিভিতে স্ট্রিমিং হবে বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি
বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে, তার আড়াই গুণ বেশি হয় নগদ টাকায়। তবে উৎসবে-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি হচ্ছে। দেশের লেনদেনব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেমস রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে নগদ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০২৩ সালে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন হয় ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪০ কোটি ৩১ লাখ বার। এই মাধ্যমে ২০২৩ সালে লেনদেন হয় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ৬২ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ বার। ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার, যা গত বছর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
নগদ লেনদেন হলো চেক ও ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা। আর ডিজিটাল লেনদেন হলো স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে লেনদেন, আন্তব্যাংক অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা, বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস), কিউআর কোডের মাধ্যম লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ ছোট ও মাঝারি মূল্যের অর্থ প্রদানে ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করলেও বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য এখনো নগদ, চেক ও কাউন্টার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। যদিও ২০২৪ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেশি ছিল, মোট লেনদেনের ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত। ওই সময়ে ঈদ উৎসব, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বিভিন্ন বিক্রয় ক্যাম্পেইনের কারণে লেনদেন বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসে ডিজিটাল লেনদেনের হিস্যা কমে ৪৭ শতাংশে। মূলত বছর শেষে নগদ উত্তোলন ও হিসাব নিষ্পত্তির কারণে নগদ লেনদেন বেড়ে যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ৪২ হাজার চেক নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪০ লাখ বার লেনদেন সম্পন্ন হয়, যার মোট মূল্য ২৭ লাখ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আর্থিক হিসাবে ইন্টার ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন ৮০ শতাংশ। বিনিময় প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারও গত বছরের জুলাইয়ের পর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) খাতে ২০২৪ সালে ৭৩০ কোটি বার লেনদেন হয়, যার মূল্য ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় বাংলা কিউআর লেনদেনে ১০৪ শতাংশ বা টাকার হিসাবে ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও ডিজিটাল হাটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম অ্যাক্ট, ২০২৪ প্রবর্তনের মাধ্যমে পেমেন্ট রেগুলেশনের আইনি ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়েছে।