চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ককটেল বোমা এবং হরিণের চামড়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে দুটি ককটেল বোমা, সাতটি দেশীয় অস্ত্র, একটি হরিণের চামড়া এবং একটি মোবাইল ফোনসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হান্নানও আছেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিন নারী শুটারকে হয়রানির অভিযোগে শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জিডি

জাতীয় তিন নারী শুটারকে হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। বুধবার রাজধানীর গুলশান থানায় জিডিটি করা হয়।

জিডিতে ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম হায়দার সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় শুটিং দলের কোচ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করা হয়েছে। জিডিটি করেছেন হয়রানির অভিযোগ তোলা তিন নারী শুটারের একজন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে জিডিতে উল্লেখ করা অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

নারী শুটার জিডিতে বলেন, তাঁরা তিনজনই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পাওয়া শুটার। জি এম হায়দার সাজ্জাদ তাঁদের ওপর মানসিক নির্যাতন করেছেন। গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে সাজ্জাদ তাঁকে অফিসে ডেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন করেন এবং অপমানজনক কথা বলেন। একজন নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে এটি তাঁর মানসিক কষ্টের কারণ হয়েছে। এতে তাঁর প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জিডিতে ওই নারী শুটার আরও অভিযোগ করেন, দলের বর্তমান কোচ শারমিন আক্তার তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন এবং অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। দুই কর্মকর্তার আচরণে তিনি আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ও আরেক নারী শুটারকে শুটিং ফেডারেশনের ভেতরেই ধর্ষণের হুমকি দেন সাজ্জাদ। ৯ নভেম্বর তাঁরা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এরপর সাজ্জাদ হুমকি দিয়ে তাঁকে সমঝোতা করতে বলছেন। সমঝোতা না করলে তাঁদের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি ও তাঁর দুই সহকর্মী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার রাতে জি এম হায়দার সাজ্জাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। আর তিন নারী শুটারের মধ্যে একজন শুটিং ফেডারেশনের সদস্য নন। তিনি চেয়েছিলেন, ঘটনার তদন্ত হোক। সে কারণে শুটিং ফেডারেশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অন্যদিকে কোচ শারমিন আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাঁকে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন নারী শুটারকে হয়রানির অভিযোগে শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জিডি