গাজীপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
Published: 23rd, May 2025 GMT
গাজীপুর নগরের সালনা এলাকায় শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারমিন খুন হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত শারমিনের বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার পাহাড়ছড়ি গ্রামে। তিনি গাজীপুরের তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। মোজাম্মেল হকের গ্রামের বাড়ি ওই উপজেলার তিতপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি গাজীপুর নগরের পোড়াবাড়ি উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁরা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। গতকাল রাতে শারমিন কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় বাসার কাছাকাছি এলাকায় মোজাম্মেল ধারালো দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই সালনা এলাকা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার হাসান বলেন, এক নারীকে তাঁর স্বামী ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।
আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।
তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।