গাজীপুর নগরের সালনা এলাকায় শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারমিন খুন হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত শারমিনের বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার পাহাড়ছড়ি গ্রামে। তিনি গাজীপুরের তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। মোজাম্মেল হকের গ্রামের বাড়ি ওই উপজেলার তিতপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি গাজীপুর নগরের পোড়াবাড়ি উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁরা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। গতকাল রাতে শারমিন কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় বাসার কাছাকাছি এলাকায় মোজাম্মেল ধারালো দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই সালনা এলাকা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার হাসান বলেন, এক নারীকে তাঁর স্বামী ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ডা. শহিদুলের মনোনয়ন দাবিতে হরতাল পালন

সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলমের দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে কালৗগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অর্ধ-দিবস হরতাল পালিত হয়েছে।

হরতালের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা হাসপাতাল মোড়ে বেলা ১১টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নেতাকর্মীরা। ঘন্টাব্যাপী অবরোধে সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে যানজট হয়। নলতা বাজারের দোকাপাট বন্ধ ছিল। এতে জনগণ ভোগান্তি পড়ে।

আরো পড়ুন:

রংপুর-৩: জাতীয় পার্টির আসন দখলে নিতে প্রচারণা শুরু বিএনপির

এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ২৩৭ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই তালিকায় সাতক্ষীরা-৩ আসনে রয়েছেন কাজী আলাউদ্দীন। এর প্রতিবাদে এবং ডা. শহিদুল আলমের দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বিএনপির নেতারা।

নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, বিএনপি নেতা এস এম হাফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ। 

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা সাতক্ষীরা-৩ আসনের জন্য ঘোষিত কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে ডা. শহিদুল আলমকে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশসহ আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভ-সমাবেশে অনেক নারীকেও অংশ নিতে দেখা গেছে। অর্ধ দিবস হরতালে কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা, কালীবাড়ী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। তবে হরতালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। জনজীবনের তেমন প্রভাব পড়েনি। 
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ