খাগড়াছড়িতে নালা থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার পূর্ব শান্তিনগরের রাজু বোর্ডিংয়ের পেছনের নালা থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নবজাতককে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নালায় পড়ে থাকা শুকনা কচুরিপানার ওপরে ছেঁড়া কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছিল নবজাতকটিকে। রাতে ওই নালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী প্রথমে নবজাতকটিতে দেখতে পান। পরে রাজু বোর্ডিংয়ে থাকা লোকজনকে খবর দেন ওই নারী। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। যে জায়গায় নবজাতকটিতে পাওয়া গেছে, এর ১০০ গজ দূরে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, নবজাতকটিকে ওই দুটি হাসপাতালের একটি থেকে এনে নালায় ফেলে গেছেন কেউ।

জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আবদুল বাতেন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে নবজাতকটি চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই কার্যালয় থেকে নবজাতকের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতকটি সুস্থ রয়েছে। তাকে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, নবজাতকটির বয়স দু–তিন দিন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নবজ তকট ক উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্পিরিট পানে ৭ মৃত্যু: কবর থেকে তোলা হলো চার মরদেহ 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।

যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম, নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই

আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির জানান, আদালতের নির্দেশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন বিষাক্ত স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করেন পরিবারের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশে আজ ওই চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।

মারা যাওয়া সাতজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নফরকান্তি গ্রামের পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক খেদের আলী, খেজুরা হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম, পিরোজখালি স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক লালটু হোসেন, শংকরচন্দ্র মাঝেরপাড়ার শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ, ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির, ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার মোহাম্মদ লালটু এবং হায়াত আলী (৪৫)।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ