নারায়ণগঞ্জে ‘আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মশালা
Published: 23rd, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে ‘আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড.
কর্মশালায় দেশের সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব মিজ মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস, মো: মনিরুজ্জামান, মো: আবু শামীম আজাদ, সিনিয়র জেলা জজ, নারায়ণগঞ্জ; প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ এবং জি.এম. আতিকুর, রহমান জামালী, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব), “আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প”।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এই কর্মশালাটি নাগরিকদের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখব।
অনুষ্ঠানটির শেষে প্রধান অতিথি গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির আওতায় সার্কিট হাউজের ভিতরে বৃক্ষরোপন করেন। এবং সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প রকল প উপস থ ত অন ষ ঠ আইন ব
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাকৃতিক উপায়ে গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের খামারিরা
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে, দেশীয় খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানিযোগ্য গরু।
দেশি জাতের গরুর পাশাপাশি সিন্ধি, শাহিওয়াল, ব্রাম্মা, বুট্টিসহ নানা জাতের বিদেশি গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে চার হাজার খামার গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত। ইতিমধ্যে অনেক খামারে পশু বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৯ হাজার ২৫২ টি। এদিকে, এই মুহূর্তে জেলায় কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬টি গরু প্রস্তুত রয়েছে।
এ পশু গুলোর মধ্যে রয়েছে ষাড় ৪৮ হাজার ২৭৩টি, বলদ ৬ হাজার ৪৬৫ টি, মহিষ ৯১০টি, ছাগল ১০ হাজার ৪৪০ টি, ভেড়া ৩৩৮৪ টি, অন্যান্য পশু ১৬১টি।
চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৮২৬ টি পশুর ঘাটতি আছে। তবে আগামী কয়েকদিনে ঘাটতির পরিমাণ কমে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ১০টি গরু মোটা-তাজা করেছেন সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের খামারি হানিফ মিয়া।
তিনি বলেন, “রাসায়নিক ঔষধ ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করেছি। ভারত অথবা অন্য দেশ থেকে পশু না আসলে কোরবানির হাটে হয়তো ভালো দাম পাবো। প্রতিদিন মানুষ গরু দেখতে আসতাছে।”
সিদ্ধিরগঞ্জের খামারী আব্দুস সামাদ বলেন, আমার খামারে সংকর জাতীয় গরু গুলো দেখতেও সুন্দর, এগুলোর দামও বেশি আড়াই লাখ টাকা থেকে বারো লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে আমার ফার্মে। এসব গুলো দেখতে ক্রেতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভীড় করছেন প্রতিদিন।
প্রাণীসম্পদ বিভাগ জানায়, খামারে মোটাতাজা গরুর কদর থাকলেও ছোট গরুর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। লক্ষ্যপূরণ করা গেলে নারায়ণগঞ্জে এ বছর সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে আশা করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান মিয়া বলেন, সারা বছর গরু ও অন্যান্য পশু কিভাবে পালন করা হবে, এ নিয়ে খামারিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করছে এ জেলার খামারিরা। খামারিরা খড়, গম ও ডালের ভূষি, ঘাস, খৈইল, কুড়া খাইয়ে পশু পালন করেছে ।
পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামেথাসন পশু ও মানুষের জন্য কতটা ক্ষতির সম্পর্কে এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে যেন তারা এসব ব্যবহার না করেন বিষাক্ত এসব রাসায়নিকের হাই ডোজ প্রয়োগ করে অল্পদিনে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তাজা করা এসব গরুর মাংস খেলে লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্তসহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। কেউ ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী দন্ডিত করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় ঘাটতি পশুর সংখ্যা কিন্তু আগামী কয়েকদিনে আরো কমতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। কিন্তু ঢাকার কাছাকাছি জেলা হওয়ায় অধিক লাভের আশায় সিরাজগঞ্জ পাবনা ও উত্তরাঞ্চল থেকে প্রতি বছরের ন্যায় গরু আসায় এই জেলায় পশুর ঘাটতি থাকে না।
এছাড়া বাজার স্থিতিশীল থাকলে আশাকরি খামারিরা লাভবান হবেন। চামড়ার মূল্য সঠিক পাওয়া গেলে খামারিরা আরো বেশি লাভবান হবে।