শেষটা রাঙালেন মোস্তাফিজ, জিতল দিল্লি
Published: 25th, May 2025 GMT
এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমান নিলাম থেকে কোনো দল পাননি। শেষবার খেলেছিলেন চেন্নাইয়ে। তাকে এবার ধরেও রাখেনি মাহেন্দ্র সিং ধোনির দল। বাধ্য হয়ে টিভির পর্দাতেই চোখ রাখতে হয়েছিল।
কিন্তু তার কপাল খুলে যায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধে। একাধিক বিদেশী ক্রিকেটার যখন ভারত ছাড়ছিলেন তখন দল গোছানো কঠিন হচ্ছিল ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর। স্থগিত হওয়া আইপিএল শুরু হলে মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজ আগেও দিল্লিতে খেলেছিলেন।
দিল্লি সেরা চারে না উঠায় তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় বাংলাদেশি পেসারের। গুজরাটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কোনো উইকেট না পেয়ে ২৪ রান দিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩০ রানে পেয়েছিলেন রোহিত শর্মার উইকেট। দুই ম্যাচেই হেরেছিল তার দল।
গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে বাঁহাতি পেসারের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। জিতেছে তার দলও। মোস্তাফিজ ৩৩ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আগে ব্যাটিং করে পাঞ্জাব কিংস ৮ উইকেটে ২০৬ রান করে। জবাবে দিল্লি শেষ ওভারে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
জয়পুরে ৪১৪ রানের ম্যাচে মোস্তাফিজ ৮.
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেটের স্বাদ পান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্রিয়ান্স আয়রা মোস্তাফিজের শর্ট অব লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। প্রথম ওভারে ৫ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান বিলিয়ে আসেন।
১৬তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। এবারও পঞ্চম বলে পেয়ে যান উইকেট। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান শশাঙ্ক সিং লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ফিরে এসে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অলরাউন্ডার জানসেনকে ফেরান। উইকেটের পেছনে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে তালুবন্দি করান। ৪ ওভারের দারুণ বোলিং শেষ হয় ওখানেই।
দুই ম্যাচ পর দিল্লি জয় পেয়েছে সামির রিজবীর ব্যাটে। ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৮ রান করেন সামির। এছাড়া ২৭ বলে ৪৪ রান করেন করুন নায়ার।
১৪ ম্যাচে ৭ জয়ে মোস্তাফিজদের দিল্লির মিশন শেষ হলো।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভয়প্রীতি নেতাদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা যাবে না : রাসেল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ঞস্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় টিম প্রধান এম জি মাসুম রাসেল বলেছেন, রাজনীতি এত সহজ না। এই নারায়ণগঞ্জ গত ৫ তারিখের আগে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছি। আমাদের এই স্বেচ্ছাসেবকদল টিম রাজনীতি সভা রাস্তায় করে গেছি।
মিছিল করেছি মিটিং করেছি লিফলেট বিতরণ করেছি। তখন কি শামীম ওসমান ছিলো না নারায়ণগঞ্জে।
আমরা এসেছি, মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করে এসেছি। দল করতে হলে ভয়কে উর্ধ্বে করে আসতে হবে। ভয়প্রীতি নেতাদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা যাবে না। চাঁদাবাজি সন্ত্রাসবাজী দখলবাজী কি এখন শুরু হয়ে গেছে, হয়নি।
দল করতে হলে সংগঠনের প্রতি দরদ থাকতে হবে। এই মিটফোর্ডে হত্যাকান্ডটি ভাঙ্গারী ব্যবসা দ্বন্দ্ব নিয়ে হয়েছে। আমরা কোন হত্যা কান্ডকে সমর্থন করি না। তাহলে বুঝতে হবে আমাদের বিএনপি বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত চলছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তর্ভুক্ত ৮টি ওয়ার্ড ও দুটি ইউনিয়নের কর্মীসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইউনুস সরকারকে সময় বেধেঁ দিসে বিএনপি নির্বাচন করার জন্য। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীর্ষ মার্কা আপামর জনগণের মার্কা বুঝাতে হবে। আজকে দেশের কোন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে না। ইউনুস সরকারের কথা পুলিশ চলে, বিএনপি কথা চলে না।
তাই যারা বিএনপি নামে কুটস্যা রটাতে চান, আপনাদের আমরা চিনি তাদের হুশিয়ারি দিতে চাই। ৭১ এ এই দেশ পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, আপনারা স্বাধীন দেশ চাননি।
আর যারা ২৪এর হারুনের টেবিলে ভাত খেয়েছে আন্দোলন শেষ করে দিয়েছিলেন। তখনই তারেক রহমান নিদের্শে বিএনপি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম হারুন ও সদস্য সচিব মাহবুব হাসান জুলহাসের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মীসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এম আর গনি মোস্তফা, সহ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রহমান রাজীব, সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামালউদ্দিন মীর্জা জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান হক। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।