পরিবারের সবাই সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টি। কালো কুচকুচে রঙের ষাঁড়টিকে ভালোবেসে সবাই ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন। গত বছর ষাঁড়টির দর উঠেছিল ১০ লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রি করেননি কৃষক সোহাগ মৃধা। প্রায় ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি বাজারে তুলবেন না তিনি। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শখের ষাঁড়টি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চান সোহাগ।

আদৌ ষাঁড়টি উপহার হিসেবে খালেদা জিয়া গ্রহণ করবেন কি না, জানেন না সোহাগ মৃধা। এরপরও ষাঁড়টি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকায় দুটি মিনি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। বাদক দল ও যাঁরা ষাঁড় নেওয়ার সময় ঢাকা যাবেন, তাঁদের জন্য বানানো হয়েছে বিশেষ গেঞ্জি। সঙ্গে থাকবে ব্যানার ও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ। এখন ষাঁড়টি সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। সোহাগের কালো মানিককে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন দূরদূরান্তের মানুষ।

কৃষক সোহাগ মৃধার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী। আওয়ামী লীগের আমলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে তাঁর ইচ্ছা জাগে খালেদা জিয়াকেও তিনি তাঁর শখের ষাঁড়টি উপহার দেবেন।

সোহাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি কেনেন সোহাগ মৃধা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গাভিটি একটি বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভিটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন আর বাছুরটিকে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছয় বছর ধরে লালন–পালন করেন। এটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি।

শনিবার সোহাগের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল দেহের কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টি সোহাগ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মিলে সেবা-যত্ন করছেন। বাড়িতে কালো মানিককে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেছেন।

সোহাগ মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমিও বিএনপিকে ভালোবাসি। ভাইরাল হওয়ার জন্য না, আবেগ থেকেই প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই। আর কিছুই চাই না। এতে লাভ-লোকসানের কিছু নেই।’

সোহাগ মৃধার বাড়িতে বেড়ে ওঠা কালো মানিক ও তাঁর ছোট ছেলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপহ র দ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আগের মতোই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে হবে। 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ