খালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক
Published: 25th, May 2025 GMT
পরিবারের সবাই সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টি। কালো কুচকুচে রঙের ষাঁড়টিকে ভালোবেসে সবাই ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন। গত বছর ষাঁড়টির দর উঠেছিল ১০ লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রি করেননি কৃষক সোহাগ মৃধা। প্রায় ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি বাজারে তুলবেন না তিনি। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শখের ষাঁড়টি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চান সোহাগ।
আদৌ ষাঁড়টি উপহার হিসেবে খালেদা জিয়া গ্রহণ করবেন কি না, জানেন না সোহাগ মৃধা। এরপরও ষাঁড়টি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকায় দুটি মিনি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। বাদক দল ও যাঁরা ষাঁড় নেওয়ার সময় ঢাকা যাবেন, তাঁদের জন্য বানানো হয়েছে বিশেষ গেঞ্জি। সঙ্গে থাকবে ব্যানার ও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ। এখন ষাঁড়টি সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। সোহাগের কালো মানিককে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন দূরদূরান্তের মানুষ।
কৃষক সোহাগ মৃধার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী। আওয়ামী লীগের আমলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে তাঁর ইচ্ছা জাগে খালেদা জিয়াকেও তিনি তাঁর শখের ষাঁড়টি উপহার দেবেন।
সোহাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি কেনেন সোহাগ মৃধা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গাভিটি একটি বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভিটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন আর বাছুরটিকে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছয় বছর ধরে লালন–পালন করেন। এটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি।
শনিবার সোহাগের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল দেহের কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টি সোহাগ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মিলে সেবা-যত্ন করছেন। বাড়িতে কালো মানিককে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেছেন।
সোহাগ মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমিও বিএনপিকে ভালোবাসি। ভাইরাল হওয়ার জন্য না, আবেগ থেকেই প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই। আর কিছুই চাই না। এতে লাভ-লোকসানের কিছু নেই।’
সোহাগ মৃধার বাড়িতে বেড়ে ওঠা কালো মানিক ও তাঁর ছোট ছেলে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
ঢাকা/সাইফ