আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে বিএনপির কমিটি করার দাবি
Published: 26th, May 2025 GMT
আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে রাজশাহী নগর, থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিগুলো পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির একাংশের নেতারা।
সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহীর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
আবরার ফাহাদের নামে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনের ব্যানারে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসার কয়েকটি ছবি ব্যবহার করা হয়। এসব ছবিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তাকে দেখা যায়।
আরেকটি ব্যানারে নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদের ছবি দিয়ে লেখা হয়, কারাগারে থাকা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দিনে বিএনপি, আর রাত আওয়ামী লীগ এমন নেতারা বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারেন না। নগর বিএনপি ছাড়া থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের। বাদ পড়েছেন দলের প্রকৃত কর্মীরা।
তারা বলেন, যারা সাবেক মেয়র লিটনের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করেছেন, তাদের দিয়ে বিএনপি পুনর্গঠন সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান। সব কমিটি ভেঙে দিয়ে ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। তা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা পপি, নগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মাইনুল ইসলাম হারু, মহিলা দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, যুবদল নেতা রুহুল আমিন বাবলু।
মানববন্ধনের বিষয়ে কথা বলতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসাকে ফোন করা হলে তার ছেলে ফোন ধরেন। তিনি জানান, তার বাবা একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।
এর আগে, গত ৩ মে একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছিল। সেদিন ঈসা বলেছিলেন, “তারা বিএনপির কে? তারা কখনো খোলা আকাশের নিচে কমিটি করেছে? কোনো দিনই করেনি। তারা কমিটি করত গোপনে। আমরা খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করেছি। তাদের দাবি অনুযায়ী কমিটি বাতিলের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নগর ব এনপ র ব এনপ ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় গৃহবধূ সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
পাবনায় যৌতুকের টাকা না দেয়ায় গৃহবধূ সাদিয়া খাতুনকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাপুনিয়া আক্তারের ঢালে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আনারুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, সাইদুল রহমান, নিহত সাদিয়ার বাবা সোহেল মোল্লা, মা ডলি বেগম, জোসনা খাতুন প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন মামা, সংবাদ সম্মেলনে বললেন ভাগনে
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
মানববন্ধনে বক্তারা অভিডোগ করে বলেন, সাদিয়াকে হত্যার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাব্বির প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে অভিযুক্ত সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
সাদিয়ার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার টিকোরি গ্রামের প্রবাসী সোহেল মোল্লার মেয়ে সাদিয়া খাতুনের চার বছর আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কাজীপাড়া গ্রামের সালাম প্রামাণিকের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর যৌতুকের টাকা দাবি করে সাদিয়াকে নির্যাতন করতেন সাব্বির। যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ জুন রাতে স্ত্রীকে মারধর করেন সাব্বির। একপর্যায়ে সাদিয়ার মৃত্যু হয়। সাব্বির নাটক সাজিয়ে সাদিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সাব্বির ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় মৃত সাদিয়ার মা ডলি খাতুন বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। গত ৫ জুলাই দায়েরকৃত মামলা নম্বর ৮। মামলায় সাদিয়ার স্বামী সাব্বির, তার বাবা-মা ও দুই ভাইকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘পুলিশ আসামি ধরছে না— এই অভিযোগ সত্য নয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটি টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল