আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে রাজশাহী নগর, থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিগুলো পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির একাংশের নেতারা। 

সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহীর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়।

আরো পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আবরার ফাহাদের নামে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনের ব্যানারে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসার কয়েকটি ছবি ব্যবহার করা হয়। এসব ছবিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। 

আরেকটি ব্যানারে নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদের ছবি দিয়ে লেখা হয়, কারাগারে থাকা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দিনে বিএনপি, আর রাত আওয়ামী লীগ এমন নেতারা বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারেন না। নগর বিএনপি ছাড়া থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের। বাদ পড়েছেন দলের প্রকৃত কর্মীরা।

তারা বলেন, যারা সাবেক মেয়র লিটনের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করেছেন, তাদের দিয়ে বিএনপি পুনর্গঠন সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান। সব কমিটি ভেঙে দিয়ে ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। তা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা পপি, নগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মাইনুল ইসলাম হারু, মহিলা দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, যুবদল নেতা রুহুল আমিন বাবলু।

মানববন্ধনের বিষয়ে কথা বলতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসাকে ফোন করা হলে তার ছেলে ফোন ধরেন। তিনি জানান, তার বাবা একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।

এর আগে, গত ৩ মে একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছিল। সেদিন ঈসা বলেছিলেন, ‍“তারা বিএনপির কে? তারা কখনো খোলা আকাশের নিচে কমিটি করেছে? কোনো দিনই করেনি। তারা কমিটি করত গোপনে। আমরা খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করেছি। তাদের দাবি অনুযায়ী কমিটি বাতিলের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নগর ব এনপ র ব এনপ ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে ‍শিবচর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।

মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন