ওয়ালটন হাই-টেকে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত
Published: 27th, May 2025 GMT
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র কর্পোরেট অফিস বসুন্ধরায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের উপস্থিতিতে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এ বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন তারা।
ওয়ালটনের সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শেখ মো.
অগ্নি মহড়ায় জরুরি পরিস্থিতিতে নিরাপদ বহির্গমণ পদ্ধতি, বহণযোগ্য অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিকান্ড বড় আকার ধারণ করলে ফায়ার সেইফটি টিম ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় অগ্নি নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন নিয়ন্ত্রণ, আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ মহড়া করা হয়।
এছাড়া জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।
অগ্নি মহড়ার প্রধান অতিথি হিসাবে ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নজরুল ইসলাম সরকার উপস্থিত থেকে সবার উদ্দেশ্যে নিরাপদ বহির্গমণ, অগ্নিনির্বাপন ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার বিষয়ে প্রশিক্ষণ মহড়ার প্রয়োজনিয়তা এবং গুরুত্ব বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমণ পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই, প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।’’
প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপৎকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত ছিল।
ঢাকা/হাসান//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র পদ মহড় র লটন হ
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল