লক্ষ্মীপুরে লোভ দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কবির হোসেন নামে প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। 

এর আগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোথাও পাঠদান, কোথাও শিক্ষকদের কর্মবিরতি 

রাবিতে সংঘর্ষ: ৩ ছাত্র সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ-প্রতিবাদ

স্থানীয়রা জানান, চরমনসা গ্রামের ভুক্তভোগী শিশু গত দুই সপ্তাহ বিদ্যালয়ে আসতে রাজি হচ্ছিল না। মা এর কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে শিশুটি জানায়, কবির হোসেন জাম খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে যৌন হয়রানি করেছে। এ ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও ভুক্তভোগী অভিযোগ করে। 

এ দিকে ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে থাকায় বিদ্যালয়ে ছিলেন না। বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা আজ সকালে ওই শিশু শিক্ষার্থীর মাকে স্কুলে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী তিনি স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনা জানতে চান। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবক এবং স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে তারা গণপিটুনি দিয়ে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। 

গ্রেপ্তারের আগে যৌন হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন অভিযুক্ত কবির হোসেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষণের কারণে ১ সাপ্তাহ বিদ্যালয়ে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি দাবি করেন। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ‘‘ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’’

লিটন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ন হয়র ন র লক ষ ম প র শ ক ষকক

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ