দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৭ জুন
Published: 28th, May 2025 GMT
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এই হিসেবে, ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দ. এশিয়ায় বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুর সার্বিক উন্নতিতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের বাজেট কমিয়ে এ খাতে কিভাবে বরাদ্দ দিতে হবে তার রোডম্যাপ করাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইউনিসেফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক মিডিয়া ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট : শিশুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান প্রবণতা এবং তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিশু-সম্পর্কিত সমস্যা এবং শিশুর বিকাশের ওপর বাজেট বরাদ্দের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এতে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের সোশ্যাল পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক স্পেশালিস্ট মো. আশিক ইকবাল তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘ইউনিসেফ মূলত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিশু অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের মূলত প্রয়োজন বাজেট। বাজেট বরাদ্দ ছাড়া আমরা তা করতে পারব না। এবার কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় আশা করা যায়, বাজেটে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। সেই সুযোগটি এবার তৈরি হয়েছিল। অন্যান্য দেশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যেভাবে বরাদ্দ দেয়, সেখান থেকেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
প্রবন্ধে বলা হয়, সোশ্যাল খাতে আমাদের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেগুলো গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় অনেক কম। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। আমাদের দেশে বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর শিক্ষা খাতে জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়।