৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্টের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। নিয়মিত আয়োজনের আজ ষষ্ঠ পর্বে ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর মডেল টেস্ট প্রকাশ করা হলো। মডেল টেস্ট তৈরি করেছেন ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া আবু তালেব সুরাগ।

১. বাংলাদেশের টেরিটরিয়াল সমুদ্রসীমা কত?
ক.

১০ নটিক্যাল মাইল
খ. ১২ নটিক্যাল মাইল
গ. ২২ নটিক্যাল মাইল
ঘ. ২০০ নটিক্যাল মাইল

২. ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২
খ. ৩
গ. ৪
ঘ. ৫

৩. বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের সময়সীমা হলো—
ক. ফাল্গুন-জ্যৈষ্ঠ
খ. কার্তিক-অগ্রহায়ণ
গ. কার্তিক-জ্যৈষ্ঠ
ঘ. বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ

৪. বাংলাদেশের সর্বপূর্বের উপজেলা কোনটি?
ক. তেতুলিয়া
খ. টেকনাফ
গ. থানচি
ঘ. শিবগঞ্জ

৫. রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির পাহাড়সমূহ কিসের উদাহরণ?
ক. প্লাইস্টোসিন যুগের পাহাড়
খ. টারশিয়ারি
গ. সাম্প্রতিক কালের পাহাড়
ঘ. সবগুলোই

৬. স্লেট কোন ধরনের শিলা?
ক. রূপান্তরিত
খ. আগ্নেয়
গ. পাললিক
ঘ. ভৌত

৭. ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে আছে?
ক. ট্রপোমণ্ডল
খ. স্ট্র্যাটোমণ্ডল
গ. মেসোমণ্ডল
ঘ. তাপমণ্ডল

৮. কোনটি মৃত আগ্নেয়গিরি?
ক. ফুজিয়ামা, জাপান
খ. মাওনালেয়া, হাওয়াই
গ. কোহিসুলতান, ইরান
ঘ. সবগুলোই

৯. সাধারণত কোন মাসে আউস ধান রোপণ করা হয়?
ক. সেপ্টেম্বর-অক্টোবর
খ. মার্চ-এপ্রিল
গ. মে-জুন
ঘ. ফেব্রুয়ারি-মার্চ

১০. কত সালে বড়পুকুরিয়া কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়?
ক. ১৯৮০
খ. ১৯৮২
গ. ১৯৮৫
ঘ. ১৯৮৬

১১. যমুনা ও পদ্মার মিলনস্থল—
ক. চাঁদপুর
খ. ভৈরববাজার
গ. গোয়ালন্দ
ঘ. আজমিরীগঞ্জ

১২. কত সালে, কোথায় পরিবেশ বিষয়ে প্রথম সম্মেলন হয়?
ক. ১৯৭০, লন্ডন
খ. ১৯৭২, স্টকহাম
গ. ১৯৭২, জেনেভা
ঘ. ১৯৯২, ব্রাজিল

১৩. কোনটি জলবায়ুর নিয়ামক?
ক. বায়ুর তাপ
খ. ঘূর্ণিঝড়
গ. বায়ুর ঘনত্ব
ঘ. মাটি

১৪. কোনটি আহ্নিক গতির ফল নয়?
ক. জোয়ার–ভাটা
খ. ঋতু পরিবর্তন
গ. সমুদ্রস্রোত
ঘ. দিবারাত্রি সংঘটিত হওয়া

১৫. বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ?
ক. ০.০১%
খ. ০.৪১%
গ. ০.০২%
ঘ. ০.৮০%

১৬. বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
ক. মেঘনা
খ. যমুনা
গ. পদ্মা
ঘ. করতোয়া

১৭. যমুনা নদীর প্রধান উপনদী কোনটি?
ক. গোমতী
খ. শীতলক্ষ্যা
গ. ধলেশ্বরী
ঘ. ধরলা

১৮. নদীর দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়জাত হলো—
ক. প্লাবন সমভূমি
খ. অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ
গ. ভি আকৃতি উপত্যকা
ঘ. পাদদেশীয় পলল সমভূমি

১৯. ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ কোথায় অবস্থিত?
ক. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর
খ. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর
গ. প্রশান্ত মহাসাগর
ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর

২০. সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ—
ক. শনি
খ. শুক্র
গ. বৃহস্পতি
ঘ. বুধ

মডেল টেস্ট ৬-এর উত্তর
১.খ। ২.খ। ৩.ক। ৪.গ। ৫.খ। ৬.ক। ৭.খ। ৮.গ। ৯.খ। ১০.গ।
১১.গ। ১২.খ। ১৩.ঘ। ১৪.খ। ১৫.খ। ১৬.গ। ১৭.ঘ। ১৮.গ। ১৯.ক। ২০.ক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নট ক য ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি

টানা বর্ষণে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। মহাসড়কটির একাধিক বাঁকে খানাখন্দের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।

মহাসড়কটিতে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতি ও সওজের সূত্র জানা যায়, এই মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট রুটের একাধিক চালক ও যাত্রী বলেন, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গাড়ির চাপে উঠে যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গর্ত তৈরি হচ্ছে। পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকাসহ কুয়াকাটাগামী মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির এমন বেহাল দশায় অতিষ্ঠ তাঁরা।

শ্যামলী এনআর পরিবহনের চালক কেরামত আলী বলেন, সড়কটিতে এত গর্ত যে স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদেরও দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তুহিন পরিবহন নামে আরেকটি বাসের চালক কাওসার হাওলাদার বলেন, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নিলে সড়কটি আরও বেহাল হয়ে পড়বে।

সম্প্রতি মহাসড়কটি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৫০ গজ পরপরই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়া এলাকায় এসব গর্তের পরিমাণ বেশি।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় এসেছেন জানিয়ে কুয়াকাটাগামী যাত্রী আল আমিন, পটুয়াখালীর পর আর যেন বাস চলছে না। কিছুক্ষণ পর পর ব্রেক কষতে হচ্ছে। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় একদিকে ঝাঁকুনি, অন্যদিকে সময়ও লাগছে বেশি। আর ঝুঁকিও অনেক বেশি।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে নির্মিত এই সড়কে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। মহাসড়কের এই অংশ দেখভাল করে বরগুনা ও পটুয়াখালী দুই জেলার সওজ।

এ ব্যাপারে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস বলেন, এবার দক্ষিণাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের পিচ আলগা হয়ে যায় এবং যানবাহনের চাকায় তা সরে গিয়ে দ্রুত খানাখন্দ তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমাণ দল দিয়ে জরুরি সংস্কারের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সওজের পটুয়াখালী অঞ্চলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ