ফের হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
Published: 30th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা কালেঙ্গার ডেবরাবাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে ২২ জন নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরমধ্যে পুরুষ ৯ জন, মহিলা ৮ জন ও শিশু ৫ জন।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে এ সংবাদ পেয়ে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ রেমা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, তারা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
এরআগে ২৬ মে এ সীমান্ত দিয়ে ১৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে ঠেলে দিয়েছিল বিএসএফ।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির ১৩ দিন পর মৃত্যু
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত নাসির উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “১৩ দিন আগে শ্যামকুড় এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নাসির আহত হন। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহত নাসির উদ্দিন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো ১৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরো ১৬ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে (শনিবার) রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট দিয়ে নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে নাসির উদ্দিন আহত হন। স্বজনর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত হওয়ার ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেননি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আড়াল করে রাখা হচ্ছে।
মহেশপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্য পাঠিয়েছি। পরিবারের কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি বা গুলির বিষয়টি স্বীকার করেনি। গত ১৭ মে তারিখে সীমান্তে একটি ঘটনা ঘটেছিল।”
গত এপ্রিল মাসে একই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আরো দুই বাংলাদেশি নিহত হন। ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ওয়াসিম ও ২৭ এপ্রিল গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দেড় মাস পার হলেও তাদের মরদেহ এখনো দেশে ফেরত আসেনি।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ