ফেনী সীমান্তে ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 30th, May 2025 GMT
ফেনী সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শুক্রবার ভোরে জেলার ছাগলনাইয়ার সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মো. আলতাফ (৩৯), তাঁর স্ত্রী মোমিনা বেগম (৩২); মো.
বিজিবি জানায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার মটুয়া সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ৪টি পরিবারের ১৩ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আটক ব্যক্তিদের বরাতে বিজিবির কর্মকর্তারা বলেন, ওই ১৩ বাংলাদেশিকে হাত ও চোখ বেঁধে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে বৈরী আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রত্যেকের হাত ও চোখের বাঁধন খুলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা ১৩ জনকে স্থানীয় মটুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তাঁদের খাবারসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি–৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্তে ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় বিএসএফের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কমান্ডারকে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার। এ বিষয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৩ জনক
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ