হেডলাইট বিকল, টর্চ জ্বালিয়ে ১০ কিমি চলল ট্রেন
Published: 30th, May 2025 GMT
মাঝপথে হেডলাইট বিকল। টর্চের আলোয় টানা হর্ন বাজিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ চলল ট্রেন। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটি দুই ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছায়। রুদ্ধশ্বাস এ যাত্রাটি ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর থেকে আখাউড়ার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার রাতে বিজয়নগরের মুকুন্দপুর এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের হেডলাইট হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। টর্চ জ্বালিয়ে ও টানা হর্ন বাজিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আজমপুর স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।
আজমপুর স্টেশনে ট্রেনের যাত্রীরা জানান, প্রতি সেকেন্ডে হর্ন বাজানো হচ্ছিল। এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। রেলওয়ের এমন অব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের লোকোশেড ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।