বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাওয়া দলটির দলগত অধিকার।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জামায়াতের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেওয়া হামিদুর রহমান।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগ আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ গতকাল রোববার এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা ন্যায়সংগত হয়নি। এ অনুসারে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তে দেওয়া রায় ও আদেশ বাতিল করা হলো। এ ছাড়া দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) গঠনতন্ত্র ও রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট (বিচারগত ও আইনগত) পুরোপুরি প্রয়োগ করে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর জামায়াতের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশের কপিসহ আজ তাঁরা ইসির সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।

আরও পড়ুনঅবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল, জামায়াতের নিবন্ধনসহ অন্য বিষয় নিষ্পত্তি করবে ইসি০১ জুন ২০২৫

সে অনুসারে আজ নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হামিদুর রহমান বলেন, আদালত জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ায় তাঁরা সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানান। জামায়াতের নিবন্ধনসহ সব বিষয় ২০১৩ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৩ সালের আগে জামায়াতের প্রার্থীরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। তাই প্রতীক নিয়ে আলাদা কোনো বক্তব্য থাকার সুযোগ নেই। আদালতের রায় দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার জামায়াতের নিবন্ধন অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পূর্ণ কমিশন জামায়াতের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো.

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

আরও পড়ুনজামায়াতকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দেননি: ইসির আইনজীবী০১ জুন ২০২৫

জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার ও আইনজীবী শিশির মনির।

আরও পড়ুনজামায়াত ও ইশরাকের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে ব্যবস্থা: ইসি১৮ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ম দ র রহম ন সদস য দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড