কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া প্রাথমিকের ৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
Published: 2nd, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আজ সোমবার দুপুরে এই তথ্য জানা গেছে।
১৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি অ্যন্ড অপারেশনস) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ সোমবার। নির্দেশনায় সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শাস্তির মুখে পড়তে যাওয়া শিক্ষকেরা হলেন মূলাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের জুনে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সিকদার মো. হারুন অর রশিদ ও কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দেন সহকারী শিক্ষক লুৎফর রহমান ফরহাদ। অপর দিকে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্মিলিতভাবে অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাতে বদলির বিধি অমান্যের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও নিজ খরচে শ্রেণিকক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ছবি ও গাছের চারা বিতরণের জন্য লুৎফর সব প্রধান শিক্ষককে চাপ দেন। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে জামায়াত-শিবির আখ্যা দেওয়ার হুমকি দেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠি থেকে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ও একই উপজেলার সাবেক সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিকদার মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাতজন সহকারী শিক্ষক। অভিযোগগুলোর কোনোটির সত্যতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। পরে তদন্ত কর্মকর্তার মতামত এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভুঁইয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। ওই সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র র রহম ন ব যবস থ র সহক র ল ৎফর সরক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।
‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।
শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’