কোহলির বেঙ্গালুরু না আইয়ারের পাঞ্জাব, প্রথমবার আইপিএল জিতবে কারা
Published: 3rd, June 2025 GMT
ক্রিস গেইল—তর্কযোগ্যভাবে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।
এবি ডি ভিলিয়ার্স—উদ্ভাবনী ব্যাটিংয়ে গেইলের চেয়েও এগিয়ে রাখতে হবে এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে।
বিরাট কোহলি—তর্কযোগ্যভাবে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান।
একটা সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু একাদশে জ্বলজ্বল করত এই ত্রয়ীর নাম। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে একসঙ্গে ৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন এই তিনজন। তো কোহলি-গেইল-ডি ভিলিয়ার্সের মতো খেলোয়াড়কে নিয়ে গড়া শক্তিশালী বেঙ্গালুরু কয়বার আইপিএল জিতেছে, এমন প্রশ্ন কেউ করতেই পারেন। তবে উত্তরটা শুনে তাঁরা হতাশই হবেন। সেই সময়ে তো নয়ই, এখনো আইপিএলের চ্যাম্পিয়নের ট্রফি অধরা বেঙ্গালুরুর জন্য।
অথচ বেঙ্গালুরু বরাবরই আইপিএল শুরু করে অন্যতম ফেবারিট। তিনবার তো অপেক্ষা ঘুচানোর শেষ মঞ্চ ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েও প্রতিপক্ষকে ট্রফি নিয়ে উল্লাস করতে দেখেছে বেঙ্গালুরু। যার শেষ দুটিতে কোহলি-গেইল-ডি ভিলিয়ার্স; তিনজনই ছিলেন বেঙ্গালুরু দলে।
২০১৬ সালে তৃতীয়বার আইপিএল ফাইনালে হারের পর বিমর্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়েরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ সম্মাননা পেলেন শাখাওয়াত হোসেন
প্রথমবার আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। নিউইয়র্কের কুইন্সে গত ২৪ মে অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জর্জিয়ার সিনেটর শেখ রহমান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে রন্ধনশিল্প ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষের স্বীকৃতি প্রদানের এ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও উদ্ভাবকরা। খালিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ইউএসএ এবং আশা গ্রুপ ইউএসএ আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যা আতিথেয়তা ও রন্ধনশিল্পে অসাধারণ অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। প্রথমবার ১৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আতিথেয়তা শিল্পে তার অনন্য অদ্বিতীয় নেতৃত্ব, যুগান্তকারী অবদান ও রূপান্তরকারী প্রভাবের স্বীকৃতি এই সম্মাননা। বিশেষ করে, ফুড কস্ট অপ্টিমাইজেশনের ওপর তার উদ্ভাবনী কাজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তার এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের মুহূর্ত, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আতিথেয়তা শিল্পের ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে তুলে ধরে।
মো. শাখাওয়াত হোসেন এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা হলো- যুক্তাজ্যের এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশন প্রদত্ত এশিয়ান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২১, সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ‘ট্যুরিজম ফেস অব সাউথ এশিয়া’ খেতাব, নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হোটেল ইন্ডাস্ট্রি আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের সেরা হোটেলিয়ার’ পুরস্কার। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শেফস ক্যুলিনারি কাপ কোরিয়া ২০২৪ ও ২০২৫-এর বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি হোটেলিয়ার, যিনি এই শিল্পের একজন অভিজ্ঞ পেশাজীবী, শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি করছেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে পড়ান। তার প্রভাব শুধু করপোরেট ও একাডেমিক ক্ষেত্রেই নয়, তিনি শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক ঢাকা চ্যাপ্টারের পরিচালক এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।