দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান থাকায় নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক মুন্নী সাহাসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব:) এ বি তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাসু ইসলাম, তাদের সন্তান ধানাদ ইসলাম দীপ্ত, ফারাহ ইসলাম প্রভা ও শামা ইসলাম, ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (৬৭), যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো.

শাহীন চাকলাদার, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, সাংবাদিক মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. কবির হোসেন, আপেল রানী সাহা, তপন কুমার সাহা ও প্রণব কুমার সাহা অপু, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও এস আলমের গ্রুপের ঘনিষ্ঠ সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা খায়ের, আব্দুল আজিজ এবং মো. মাসুদুর রহমান শাহ।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন পৃথক সাতটি আবেদনে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন আদালত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরহ দ হ স ন দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ দ শত য গ মন ত র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ