দেশের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম গতিশীল রাখতে ঈদুল আজহার ছুটিতেও চালু থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউস। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটিকালীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অপারেশনাল কার্যক্রম সার্বক্ষণিক (ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা ছাড়া) চালু থাকবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস স্বাভাবিক সময়ের মতো খোলা থাকবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কাস্টমস বিভাগও সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ঈদুল আজহার আগেই রাউন্ড দ্য ক্লক কানেকটিভিটিসহ একটি হট লাইন নম্বরের ব্যবস্থা করেছে কাস্টমস বিভাগ। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার (শিপ অ্যান্ড ইয়ার্ড) কামরুল ইসলাম মজুমদারের মোবাইল ফোন নম্বর (০১৭১৫-১৬৩৯৯৯) চালু থাকবে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। ওই টাস্কফোর্সের সঙ্গে জরুরি ক্ষেত্রে যোগাযোগের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের টার্মিনাল ম্যানেজার সাইফুল আলমের মোবাইল ফোন নম্বর (০১৮১৯-৩২১৫৬০) চালু থাকবে। টাস্কফোর্সের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের জন্য কাস্টমস বিভাগের একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের অনুরোধে বিগত কয়েক বছর ধরে দুই ঈদে বিপুল সংখ্যক কর্মচারীকে অধিকাল ভাতায় নিয়োজিত করে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বক্ষণিক কার্যক্রম সচল রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু সে তুলনায় আমদানিকারকদের বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার পরিমাণ থাকে খুবই কম। এই প্রেক্ষাপটে আশা করা যায় সব আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সংগঠন ঈদের ছুটি চলাকালীন স্বাভাবিক সময়ের মতো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারজাত পণ্য ডেলিভারি নেওয়া সম্ভব হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক স টমস ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে

খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।

হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় না

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।

কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’

পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ