ময়মনসিংহে বাড়ি ফেরার পথে এক আইনজীবীকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মহারাজা রোডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই আইনজীবীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শামীম (৩৬)। তিনি জেলার ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর ধরে তিনি ময়মনসিংহ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। আদালতপাড়ার নিজ চেম্বার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন।

ঘটনার বর্ণনায় মোহাম্মদ শামীম বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ চেম্বার থেকে অটোরিকশায় নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাসস্ট্যান্ডের দিতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে বাসে চড়ে ভালুকায় ফেরার কথা ছিল। ওই সময় তাঁর সঙ্গে এলাকার পরিচিত এক ব্যক্তিও ছিলেন। কোতোয়ালি থানা পার হয়ে মহারাজা রোডের সামনে যেতেই অটোরিকশাটি থামানো হয়। পেছন থেকে আরেকটি অটোরিকশায় কয়েকজন কিশোর-তরুণ লোহার রড নিয়ে পথরোধ করে। এ সময় অটোরিকশাতেই তাঁকে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তাঁর ডান পা ও দুই হাত ভেঙে দিয়ে চলে যায় দলটি। তাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে।

হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই আইনজীবী বলেন, ‘আমার ওপর হামলা করার মতো কোনো ঘটনা নেই। কারও সঙ্গে কোনো বিরোধও নেই। হামলাকারীদের কাউকে আমি চিনিও না। কেউ হয়তো দলটিকে ভাড়া করে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা এ কাজ করিয়েছে, তা–ও বলতে পারছি না। আজ (বুধবার) থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।’

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন। তাঁরা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।

এদিকে আসন ফেরানোর দাবিতে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। একটি রিট করেছেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন। আরেকটি রিট করা হয়েছে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুলের মাধ্যমে। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সর্বদলীয় অবস্থান১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসব উপলক্ষে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে।

কমিটির যুগ্ম–আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছি। দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। বুধবারও সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একইভাবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে।’

জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘ইতিমধ্যে দুটি রিট হয়েছে। আরও রিটের প্রস্তুতি চলছে। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুনবাগেরহাটে ঢিলেঢালা হরতাল, মহাসড়কে স্থানীয় গাড়ি চলায় কমেছে দুর্ভোগ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা গড়ে তোলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। আগের প্রস্তাবের তুলনায় শুধু সীমানা পরিবর্তন করা হয়। এর পর থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।

১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ 
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • ময়মনসিংহে সিলিন্ডার লিকেজে হোটেলে অগ্নিকাণ্ড 
  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা