ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসে বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারদর বেড়েছে। তাতে মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭০৯ পয়েন্টে উঠেছে। সূচক বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সুখবর পাওয়ার আশায় সোমবার বাজেট ঘোষণার দিন পর্যন্ত টানা তিনদিন শেয়ারদর বেড়েছিল। তবে বাজেট ঘোষণার পরদিন মঙ্গলবার ছিল উল্টো চিত্র। আগের তিন দিন যেখানে মূল্য সূচক ৭৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল, পরদিন সূচক প্রায় ২৫ পয়েন্ট হারায়।
এদিকে আজ বেশিরভাগ শেয়ারের দর ও সূচক বাড়লেও কমেছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। মোট লেনদেন কমে ২২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নেমেছে, যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে আজ ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৪৫টির দর। প্রতিটি খাতেরই অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। গড় হিসাবে তুলনামূলক বেশি বেড়েছে খাদ্য ও আনুসঙ্গিক এবং সিমেন্ট খাতের দর, যার পরিমাণ ২ শতাংশ।
পরের অবস্থানে থাকা ব্যাংক, বীমা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সরামিক, তথ্য-প্রযুক্তি এবং ভ্রমণ ও অবকাস খাতের কোম্পানিগুলোর গড়ে ১ শতাংশ হারে দর বেড়েছে।
একক কোম্পানি হিসেবে সোনারগাঁও টেক্সটাইল এবং এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ারদর সর্বাধিক ৯ শতাংশের ওপর বেড়েছে। ৫ ও ৭ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল যথাক্রমে পিপলস লিজিং এবং নর্দার্ন জুট।
একক কোম্পানি হিসেবে লাভেলোর সর্বাধিক ২৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার।
টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন ফের লেনদেন শুরু হবে শেয়ারবাজারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর ব ড় ছ ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস নিয়ে ভাবার সময় এসেছে
দুই বছর হতে চলল, গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। আরব দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় অত্যাধুনিক ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন’ বানানোর কথা বলে সুবিধা না করতে পেরে অন্য বিষয়ে মন দিয়েছেন। দু-চারটি ইউরোপীয় দেশ মুখে নরম-গরম কথা বললেও গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির কোনো লক্ষণীয় উদ্যোগ নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব অনেক কথা বলছেন বটে, কিন্তু সে কথা বাস্তবায়নের কোনো শক্তি তাঁর নেই। এই অবস্থায় গাজাবাসীর মরা ভিন্ন আর কী পথ আছে?
পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তার একটি ছবি মিলেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের পাঠানো এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। তাতে ইসলাম আবু তাইয়েমা নামের একজন মা ও তাঁর ৯ বছরের মেয়ের কথা বলা হয়েছে। আবু তাইয়েমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করতেন। এখন চাকরি নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, ঘরে দানাপানি নেই। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তাই তিনি গাজার রাস্তায় রাস্তায় ডাস্টবিন থেকে খাদ্য সংগ্রহ করছেন। সারা দিন ঘুরে হয়তো আধখাওয়া রুটি জুটল। ‘আজকের জন্য এটাই আমাদের আহার,’ আবু তাইয়েমা এপিকে বলেছেন। ‘কেউ বুঝতেও পারবে না কী দুর্যোগের ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি।’
গাজা অভিযানের শুরুতে এক ইসরায়েলি মন্ত্রী হাতের তিন আঙুল দেখিয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের সামনে তিনটি পথ খোলা। পালানো, গুলি খেয়ে মরা অথবা সাগরে ডুবে মরা। তাঁদের পরিকল্পনামাফিক ইসরায়েল তার সে কাজ গুছিয়ে এনেছে। কাজটা যে এত সহজ হবে দেশটির সরকার তা হয়তো ভাবেনি। তাদের ভয় ছিল, হামাস মরণপণ লড়াই করে তাদের মস্ত ক্ষতি করবে। আরব দেশগুলোও ক্রোধে জ্বলে উঠবে, বিশ্বসভায় আপ্তবাক্য শোনানো ছাড়াও তাকে থামানোর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুই হয়নি, ফলে চালাও গুলি।
ফিলিস্তিনে অস্ত্র হাতে হামাসের আল-কাশেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। ২০২১ সালের ২৮ মে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে