ফিল সল্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করছেন। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকবেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ইংলিশ দলের জন্য সুখবরও আছে। পেসার জোফরা আর্চার ফিরছেন টেস্ট ক্রিকেটে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাকে স্কোয়াডে দেখা যাবে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের নির্বাচক লুক রাইট এ খবর নিশ্চিত করেছেন। 

সল্ট পিতৃত্বকালীন ছুটি আগেই পেয়েছিলেন। আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার শেষে সন্তানসম্ভবা সঙ্গীর পাশে থাকতে ইংল্যান্ডে ফিরে যান সল্ট। ছেলে সন্তান জন্মের পর আবার ফিরে আসেন আহমেদাবাদে ফাইনাল খেলতে। ফাইনালে ৯ বলে ১৬ রান করে জয়ে অবদান রাখেন এই ক্রিকেটার। 

ফাইনাল শেষে আবার পরিবারের কাছে ফিরে যান হার্ডহিটার ব‌্যাটসম‌্যান। তার জায়গায় স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জেমস স্মিথ। চেস্টার লি স্ট্রিটে শুক্রবার শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ব্রিস্টল ও সাউথ্যাম্পটনে পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৮ ও ১০ জুন।

৩০ বছর বয়সী আর্চার ভারতের বিপক্ষে আগামী মাসে এজবাস্টন টেস্টে খেলতে পারেন। এর আগে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে তাকে। চেস্টার লি স্ট্রিটে সাসেক্সে ডারহামের বিপক্ষে ম‌্যাচ খেলবে। আর্চার সেই ম‌্যাচ খেলে ফিটনেস টেস্টে পাস করলেই মিলবে খেলার টিকিট। ইংল‌্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি অনঅফিসিয়াল টেস্ট খেলেছেন।

এদিকে তিন বছর পর ইংল‌্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন জেমি ওভারটন। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে রেখে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল সাজিয়েছে ইংল্যান্ড। হেডিংলিতে আগামী ২০ জুন শুরু দুই দলের পাঁচ ম‌্যাচ সিরিজের টেস্ট।

বৃহস্পতিবার ১৪ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ইংল‌্যান্ড। ২০২২ সালের জুনে ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্টটি নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ওভারটন। এরপর লম্বা সময় পর পেস অলরাউন্ডার ফিরলেন লায়ন্স দলে। 

ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ইংল্যান্ড দল: বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জো রুট, ব্রাইডন কার্স, বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি, অলি পোপ, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ, জেমি ওভারটন, ক্রিস ওকস, জশ টং, স্যাম কুক, শোয়েব বাশির।
 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ