শখ করে লালন-পালন করা প্রায় ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন পটুয়াখালীর কৃষক সোহাগ মৃধা। তবে খালেদা জিয়ার পরামর্শে ষাঁড়টি নিজ এলাকায় ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা’র সামনে ষাঁড়টি নিয়ে পৌঁছান সোহাগ মৃধা। সঙ্গে ছিল তাঁর শিশু ছেলে জিসানও। সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁদের ভেতরে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের আপ্যায়ন ও ঈদ উপহার দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার সকালে ষাঁড়টি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি পৌঁছান সোহাগ মৃধা। তিনি ও তাঁর পরিবার বেশ খুশি।

সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। আমার উপহার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রহণ করেছেন, আবার আমাকেই সেটি উপহার হিসেবে ফেরত দিয়েছেন। তারেক রহমান স্যার আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেছেন। আমাকে এবং আমার ছেলেকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছি। ঈদের পর ষাঁড়টির ব্যাপারে পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব।’

রঙিন কাগজে সাজিয়ে তিনটি ভাড়া করা ট্রাকের একটিতে কালো মানিককে ফুলের মালা পরিয়ে ঢাকায় নেওয়া হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপহ র দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ