আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের মিছিল। প্রথমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরে হেনরিক ক্লাসেন। এবার নিকোলাস পুরান। ক্রিকেট বিশ্বের তিনজনই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। নিজেদের দিনে তারা ছারখার করে দেন প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না তাদের ব্যাটিং তাণ্ডব।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেটার পুরান জানিয়েছেন, অনেক ভেবে-চিন্তা করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন তিনি। তবে একটু আগেভাগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ২০১৬ সালে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটারের বয়স কেবল ২৯। তাই তো তার অবসরের ঘটনা বিস্ময় ছড়িয়েছে বেশ।
পুরান নিজের অবসরের চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘অনেক চিন্তাভাবনা এবং প্রতিফলনের পর, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
আরো পড়ুন:
সফল রান তাড়ায় সিরিজ ইংল্যান্ডের
শরিফুলের হাত ধরে সীমান্তঘেঁষা উপজেলায় ‘তেঁতুলিয়া টাইটান্স ক্লাব’
‘‘আমি এই খেলাটিকে ভালোবাসি যা আমাকে অনেক আনন্দ, ভালোবাসা এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। সেই মেরুন রঙের পোশাক পরে, জাতীয় সঙ্গীতের জন্য দাঁড়িয়ে এবং প্রতিবার মাঠে পা রাখার সময় আমার যা কিছু ছিল তা দিয়ে.
ক্রিকেট বিশ্বের যে সমস্ত ব্যাটসম্যান একাই প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের নাম তাদের মধ্যে পুরান অন্যতম। ভক্তদের জন্যই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এতদূর আসতে পেরেছেন বলে মনে করছেন,
‘‘ভক্তদের…তোমাদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। তোমরা কঠিন মুহূর্তগুলোতে আমাকে তুলে এনেছো এবং অতুলনীয় আবেগের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উদযাপন করেছো। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সতীর্থদের ধন্যবাদ, আমার সঙ্গে এই যাত্রায় হেঁটে যাওয়ার জন্য। তোমাদের বিশ্বাস এবং সমর্থন আমাকে সবকিছুর মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়েছে।’’
তার বিস্ফোরক পারফরম্যান্স এবং অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিগত সফর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে ভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেছে। ২০১৫ সালে, একটি গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনায় তার স্বপ্ন সত্যিকার অর্থে শুরু হওয়ার আগেই ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের টেন্ডন ছিঁড়ে গিয়েছিল এবং পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। এরপর প্রায় এক বছর ধরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৪ বলে ফিফটি করে লাইমলাইটে আসেন পুরান। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৩৬৭ রান করেছিলেন ৫২.৪৭ গড়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৩ বলে ১১৮ রান করেছিলেন যা ওয়ানডেতে তার একমাত্র সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
৫৪ ওয়ানডে ১ হাজার ৬৩৪ রান রান করেছেন ৩৬.৩১ গড়ে। এছাড়া ৮৮ টি-টোয়েন্টিতে তার রান ১ হাজার ৮৪৮। ক্যারিবীয়ান ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা ফুটিয়েও তুলেছেন, ‘‘যদিও আমার ক্যারিয়ারের আন্তর্জাতিক অধ্যায়টি শেষ হয়ে গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা কখনও মরবে না। আমি এই দল ও অঞ্চলের সাফল্য কামনা করি এবং আগামীর যাত্রার জন্য শক্তি কামনা করছি।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য পুরানকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন স ট ইন ড জ অবসর র র জন য ন কর ছ
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে