ঈদের দিন বিকেল থেকে সাভারের ট্যানারিপল্লিতে আসা শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। পাঁচ দিনে সেখানে এসেছে প্রায় পাঁচ লাখ পশুর চামড়া।  আরও প্রায় তিন লাখ চামড়া ট্যানারিপল্লিতে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। বছরজুড়ে সারাদেশ থেকে ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বলছে, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৮ থেকে ১০ লাখ পশুর চামড়া। ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ট্যানারি মালিকরা। সাভারের ট্যানারিপল্লিতে গতকাল পর্যন্ত লবণযুক্ত ও লবণ ছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ পিস চামড়া ঢুকেছে। এ ছাড়া ঢাকার পোস্তাগোলা, আমিনবাজার, হেমায়েতপুর ও বিভিন্ন মাদ্রাসায় প্রায় তিন লাখ পিস চামড়া রয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেসব চামড়া ট্যানারিপল্লিতে পৌঁছে যাবে।

সমতা লেদার কমপ্লেক্সের পরিচালক মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, ঢাকা থেকে চামড়া সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, বলা চলে তা পূরণ হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে ট্যানারিতে সারাদেশের চামড়া আসা শুরু হবে। এর পর পুরোদমে শুরু হবে প্রক্রিয়াজাতের কাজ। 

এবারও চামড়ার গুটি পক্স, ভালোভাবে মাংস না ছাড়ানোসহ নানা কারণে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হতে পারে বলে মনে করেন কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আরও ২০ লাখ ৬০ হাজার পশুর চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ছয় বিভাগে ২৫ লাখ ২৬ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে এবার সরকার বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোতে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে সরবারহ করেছে। ফলে বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে পশুর চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে। লবণ দিয়ে এসব চামড়া স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

এদিকে এবারও চামড়ার ন্যায্য দর না পাওয়ায় হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঢাকার নাখালপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী রায়হান কবির  বলেন, কোরবানির দিন তিনি ২০টি গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন। পরিবহন খরচসহ গড়ে প্রতিটির দাম পড়েছে ৬৫০ টাকার কিছু বেশি। তিনি বিক্রি করেছেন ৭৫০ টাকা দরে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর প্রায় এক কোটি তিন লাখ ৮০ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল। এর মধ্যে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। তবে কোরবানি হয়েছে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন ট য ন র পল ল ত ক রব ন র স গ রহ

এছাড়াও পড়ুন:

উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে মনে হচ্ছিল, আর বুঝি দেশে ফেরা হবে না

ছবি: লেখক

সম্পর্কিত নিবন্ধ