শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। দ্রুত ৪০ রান করেছিলেন। পরবর্তীতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন নাঈম হাসানের বলে।

ওপেনিংয়ে তাকে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে ভেতরের খবর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়ে আবার ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দলের চাহিদার কারণেই শান্তকে দেখা যেতে পারে ইনিংস উদ্বোধন করতে। বিষয়টি খোলাসা করতে শান্তর কাছেই তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাইলেন না তিনি। প্রতিপক্ষ আগে থেকে জেনে যাবে—এই ভাবনায় গোপন রাখলেন নিজের ব্যাটিং অর্ডার। তার ভাষ্য, ‘‘এটা আসলে এখানে বলতে চাচ্ছি না। প্রতিপক্ষ যদি দেখে, তাহলে বিষয়টি অনেক আগে থেকেই ওপেন হয়ে যেতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার চিন্তা এখনই করা বোকামি: শান্ত

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একদিনেই ১৪ উইকেটের পতন

স্কোয়াডে এবার দুই ওপেনার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় আছেন স্কোয়াডে। শান্ত ওপেনিংয়ে ফিরলে দুজনের একজনকে একাদশের বাইরে যেতে হবে। এনামুলের বাইরে থাকার সম্ভাবনা বেশি। শান্ত তার টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময়ই তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছেন। ৬৬ ইনিংসের ৫১টিতেই ব্যাটিং করেছেন। ক্যারিয়ারের পাঁচটি সেঞ্চুরি সেখানেই পেয়েছেন, যেখানে তার ব্যাটিং গড় ৩১.

৫০। ওপেনিংয়ে ছয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক ফিফটি রয়েছে তার। ব্যাটিং গড় ১৮.৯৩।

দলের প্রয়োজনেই ফের ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে শান্ত, ‘‘আমি যে কোনো পজিশনে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের আরও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আছে। পরিকল্পনা আছে, আবার অপশনও আছে। দেখা যাক।’’

নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘‘প্রস্তুতি যদি বলেন… মোটামুটি ভালো হয়েছে। এটা বলবো, আরও ভালো হতে পারত। পাকিস্তান সিরিজ একটু ডিলে হলো, যার কারণে সময়টা একটু কম পাওয়া গেছে কিছু ক্ষেত্রে। তবে অজুহাত হিসেবে এটা দিতে চাই না। যতটুকু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় টেস্টে আমরা এর আগে জিতেছি। আশা করবো এবারও ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।’’

২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সফরে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৭ জুন শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। পরে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু ২৫ তারিখে। ২০০৭ সালের পর ওই মাঠে আর টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ