গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
Published: 12th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের মধ্য সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের গ্রামের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। একই সময়ে পাশাপাশি এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যানারে সভা ছিল। সভা চলাকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.
আমীনুল ইসলাম নূর বলেন, আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি চান্দিনা ভিটির ইজারাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় তিনিসহ গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরাও ছিলেন। সভা চলাকালে বিএনপির লোকজন তাঁদের ওপর চেয়ার মারতে শুরু করেন। এতে তিনিসহ পাঁচ থেকে দশজন আহত হন।
আমীনুল ইসলাম আরও বলেন, তাঁদের বাড়ির সামনে চরবিশ্বাস বাজারে দুই শতাধিক দোকান আছে। ঈদের আগে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বাজারের দোকানিদের ডেকে চান্দিনা ভিটির ইজারা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দোকানপ্রতি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, যা সরকারি খরচের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, ১০ জুন তাঁর ভাই নুরুল হক গ্রামের বাড়ি এলে দোকানিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চান। এ সময় তাঁর ভাই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইজারা নিতে দোকানিদের নিষেধ করেন। তিনি উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা পেতে তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা এই হামলা চালান।
তবে চান্দিনা ভিটির ইজারা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা করে দাবি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপির নেতা মো. মজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব এনপ র চরব শ ব স ন র ল হক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়