সিরাজগঞ্জে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার দর্শক খরা
Published: 13th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। সিরাজগঞ্জ পৌর ভাসানী মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে সিনেমাটির প্রদর্শন করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহরে কোনো সিনেমা হল না থাকায় এই ব্যবস্থা করেছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে দর্শক নেই বললেই চলে!
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ ভাসানী মিলনায়তনে প্রদর্শনী চলছে ঢালিউড কিং শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা, বিকেল সাড়ে ৩টা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা ও রাত সাড়ে ৯টায় শো চালানো হচ্ছে। কিন্তু আশানুরূপ দর্শক নেই!
টিকিট কাউন্টারে দ্বায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিন জানান, মাত্র ১০০ টাকা টিকিটের মূল্য থাকলেও দর্শক আসছে না সিনেমা দেখতে। কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত গরমের জন্য মানুষজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। হয়তো এ কারণে দর্শক কম। প্রতি শোয়ে ৪০০ শ আসন থাকলেও গড়ে ৩০-৩৫ জন দর্শক সিনেমাটি দেখছেন। প্রথম দিন সাড়ে ৩টায় ২৫-৩০ জন দর্শক হয়েছিল। এভাবে চললে মিলনায়তনের ভাড়াও উঠবে না।”
আরো পড়ুন:
প্রকাশ্যে ‘তাণ্ডব’ এর রোমান্টিক গান, শাকিব-সাবিলার রোমান্স জমে ক্ষীর
শাকিব-অপুর ভিডিও ভাইরাল, বুবলী বললেন ‘নোংরা ভিডিও ছড়াবেন না’
সয়াধানগড়া মহল্লার কাপড় ব্যবসায়ী সেরাজুল ইসলাম বলেন, “এক সময় শহরে ৫টি সিনেমা হল ছিল। বর্তমানে শহরে কোনো হল নেই। এ কারণে সিনেমাও দেখা হয় না। বুধবার রাতে ‘তাণ্ডব’ দেখতে গিয়েছিলাম। সিনেমাটি অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে শো শেষ হওয়ার আগেই বের হয়ে এসেছি। আমার সঙ্গে আরো দুইজন বের হয়েছে।”
আয়োজক সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি সিরাজগঞ্জ শহরের সন্তান। বাংলা সিনেমার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারণে সিনেমাপ্রেমীদের তেমন সাড়া পাচ্ছি না। প্রতি শোতে ১০, ১৫, সর্বোচ্চ ১৮ জন দর্শক হচ্ছে। আশানুরূপ দর্শক না পাওয়ায় প্রদর্শনী বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।”
‘তাণ্ডব’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার রুপালি পর্দায় পা রাখলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূর। রায়হান রাফি পরিচালিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— জয়া আহসান, সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, আফজাল হোসেন, রোজী সিদ্দিকী, ডা.
ঢাকা/আদিত্য/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব পর্যটনে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের জাফলংসহ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাহী এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই এই মহাপরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।
আজ শনিবার দুপুরে জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পাথর কোয়ারির শ্রমিকরা তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকা। এখানে পাথর উত্তোলনের জন্য আর কোনো ইজারা দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুরো নদীব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে।
জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে পাথর উত্তোলন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। জাফলংয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না।
পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ের নদী ও পাথরভরা প্রাকৃতিক এলাকা জলযানে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।