বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় গজারিয়া নদীতে নিখোঁজের দুদিন পর দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মরদেহ দুটি ভেসে উঠলে নৌ পুলিশ উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার দুপুরে তারা গোসল করতে গেলে স্রোতের টানে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

মৃত দুই বোন হলো- জয়নগর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম সরদারের মেয়ে রাইসা (১২) ও ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার জসিম বেপারীর মেয়ে জান্নাত (১৩)। রাইসা ও জান্নাত সম্পর্কে মামতো-ফুফাতো বোন।

জয়নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.

মনির হোসেন জানান, গ্রামে নানা বাড়িতে ঈদ উদযাপনের জন্য পরিবারের সঙ্গে জান্নাত জয়নগরে এসেছিল। বুধবার দুপুরে জান্নাত ও রাইসা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত গজারিয়া নদীর রহমানের হাট খেয়াঘাট এলাকায় গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে দুজনে হারিয়ে যায়। বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালায়। তবে তাদের সন্ধান পায়নি। পরে শুক্রবার সকালে দুজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ নৌ পুলিশ ইনচার্জ মো. এনামুল হক দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যে কারণে মরদেহ উদ্ধারের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র বর শ ল র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’