গলাচিপা ও দশমিনায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত
Published: 14th, June 2025 GMT
পটুয়াখালী গলাচিপা ও দশমিনায় বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত রয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (১৫ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত গলাচিপা পৌর শহর ও আশপাশের এলাকা এবং দশমিনার সদর ইউনিয়ন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
শুক্রবার এ দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা এ আদেশ জারি করেন এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে তা জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ আদেশ চলাকালীন সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া একসঙ্গে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাচল সম্পূর্ন নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত দশটায় গলাচিপার পাতাবুনিয়া গ্রামে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এবং রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, “যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুই উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্য রয়েছে। দুই পক্ষকে আমরা শান্তিপূর্ন অবস্থানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি