চলন্ত ট্রেনে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন যাত্রী, মরদেহ নামানো হলো ফেনীতে
Published: 14th, June 2025 GMT
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার রাতে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে ওই যাত্রীকে নামানো হয় ট্রেন থেকে। এরপর ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. নূর হোসেন (৪২)। তিনি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার আলীশ্বর ইউনিয়নের কাকসার গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে। নূর হোসেন চট্টগ্রাম জেলার অক্সিজেন এলাকার ওয়ালটন শোরুমের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ও ওয়ালটন কর্মকর্তা সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লার লাকসাম স্টেশনে পৌঁছালে সেখান থেকে নূর হোসেন নামে এক যাত্রী চট্টগ্রামে যেতে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটির চ বগির ৩১ নম্বর সিটে বসেন নূর হোসেন। ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়ার পরে নূর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে ট্রেনটি ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে নূর হোসেনকে নামিয়ে জিআরপি পুলিশের সহায়তায় ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর বড় ভাই জাহিদ হাসান বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশে আজ বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে নূর হোসেন চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থ হয়ে যান। পরে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। আমরা মরদেহটি ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করছি।’
ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হারুন বলেন, আজ রাত সাড়ে ৮টার সময় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী স্টেশনে পৌঁছালে রেলওয়ে পুলিশসহ নিহত ব্যক্তিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফেনী স্টেশন ত্যাগ করে।
ফেনী রেলস্টেশনে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, ট্রেনযাত্রী নূর হোসেন মারা যাওয়ার ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিগত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলল।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।