প্যারিস এয়ার শো-এর আয়োজকরা ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে, কারণ তারা ‌আক্রমণাত্মক অস্ত্র প্রদর্শন করছিল।

আয়োজকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল অ্যারোস্পেস, রাফায়েল ও এলবিট সিস্টেমসসহ মোট পাঁচটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ড অর্থাৎ প্রদর্শন গ্যালারির চারপাশে বড় কালো দেয়াল তুলে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) আলজাজিরা লিখেছে, “আয়োজকরা বলছেন প্রদর্শিত অস্ত্রগুলো এয়ার শো-এর নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে, বিশেষ করে উন্নত ড্রোন প্রযুক্তির মতো অস্ত্র, যেগুলো গাজায় ব্যবহৃত হয়।”

আরো পড়ুন:

বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে

খামেনিকে আঘাতে ট্রাম্পের ভেটো: ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া কেমন?

রাফায়েলের একজন নির্বাহী, যার স্ট্যান্ড অর্থাৎ প্রদর্শনী গ্যালারি পুরোপুরি কালো বোর্ড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, তিনি এই ঘটনায় ‘ভীষণ বিস্ময়' প্রকাশ করেছেন। কারণ, এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো ধরনের নোটিশই দেওয়া হয়নি। যে কারণে তিনি স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং একে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’ বলে বর্ণনা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই চরম ও নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য রয়েছে এবং এটি অপমানজনক।”

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল প রদর শ ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ