প্যারিস এয়ার শোতে “আক্রমণাত্মক অস্ত্র” প্রদর্শনের অভিযোগে একাধিক ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরা জানিয়েছে, আয়োজকরা ইসরায়েলের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের স্টলের চারপাশে বড় কালো প্রাচীর নির্মাণ করে ঘিরে দেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই), রাফায়েল ও এলবিট সিস্টেমস।

আল জাজিরার সংবাদদাতা নাটাচা বাটলার জানান, আয়োজকরা মনে করছেন, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শিত অস্ত্র শো-এর নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই স্টলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ড্রোন সিস্টেম—যেগুলো গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে।”

বাটলারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাফায়েলের এক নির্বাহী তার স্টল পুরোপুরি ‘কালো পর্দায়’ ঢেকে দেওয়া দেখে রীতিমতো ‘হতভম্ব’ হয়ে পড়েন।

রাফায়েলের ওই নির্বাহী জানান, তাদের কোনও ধরনের আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তাকে ক্ষুব্ধ করেছে।

এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়। তারা একে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর প্রতি “বৈষম্যমূলক আচরণ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এই নজিরবিহীন ও লজ্জাজনক সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য রয়েছে।”

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ