লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়: নুর
Published: 17th, June 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে এখনও কোনো কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। তাই সময় যতদিন লাগে সরকার নিবেন। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না।
পটুয়াখালী জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে সোমবার রাতে শহরের নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, একমাত্র বিএনপি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে জোরালো কথা বলছে না। কারণ তারা আমার আগেই টের পাইছে এলাকায় এখন থাকতে পারছেন না উৎপাতে। আমি টের পাইছি এলাকায় এসে। তাই বলছি প্রধান উপদেষ্টা ড.
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরাও জোরালো কথা বলেছিলাম। কিন্তু এলাকায় আসিনিতো এ জন্য টের পাইনি যে, এই রকম কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে। আমার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা আরেকটি কেয়ামত। পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গলাচিপার বকুলবাড়িয়া ও চিকনিকান্দি এলাকার রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে রামদা, হকিস্টিকসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি।’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, তারা আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার শ্লোগান দেয়। তাইলে আসেন ভাইয়েরা আমরা আছি চামড়া তুলতে আসেন। আপনারা চামড়া তুলতে আসবেন আর আমরা কি ললিপপ চুষবো? সাবধান হয়ে যান। অনেক ফাউল কথা বলেছেন, কিন্তু আমরা ফাউল কথা বলি না। আমরা ফুটবল না, আমরা প্লেয়ার। আমরাও খেলতে জানি। আমরা খেলি এবং আমরা খেলবো। তবে, আমরা কোনো ফাউল খেলবো না।
নুর বলেন, পটুয়াখালীবাসীকে বলবো এই ধুরন্ধর ডিসি যদি থাকে; মানুষের ক্ষতি ছাড়া ভালো হবে না। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন টাকার বিনিময়ে সবকিছু তার মতো করে করেছেন। তাই এই ডিসিকে পটুয়াখালীতে রাখা যাবে না। উপদেষ্টাদের বলবো, জনপ্রশাসন সচিবকে বলবো- তারা এই ডিসিকে না সরালে আমরা সরিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, এই ডিসি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এবং নিজে রাজনীতিতে নেমেছেন। তাই বলছি, রাজনীতিতে নামছেন ভালো। ডিসিগিরি ছেড়ে রাজনৈতিক মাঠে আসেন, দেখা হবে রাজপথে এবং কথা হবে শ্লোগান–শ্লোগানে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, তালাক দেওয়া বউকে কেউ ঘরে নেয় না। আমরা এই ডিসিকে তালাক দিয়েছি। আমি জনপ্রশাসন সচিবকে বলবো- এই ডিসিকে সরাবেন, অন্যথায় পটুয়াখালীবাসী ওনাকে বেইজ্জতি করে গাট্টিবস্তা গোল করে লঞ্চে তুলে দিবে। ৫ আগস্টের পরে যদি এ রকম দলবাজ প্রশাসন থাকে; তাহলে এই প্রশাসন দিয়ে কীভাবে নির্বাচন করবেন?
নাম উল্লেখ না করে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ভিপি নুর বলেন, আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নিন। আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিন। আপনারা লুটপাট করবেন, ভোটের মাঠে জনগণ শিক্ষা দিয়ে দিবে। আগের দিন নেই এখন। সিল পিটিয়ে এমপি হবেন, উপজেলা চেয়ারম্যান-মেয়র হবেন, সেইদিন আর নেই। ডিসি-এসপিরা দিনের ভোট রাতে করে দিবেন, সেইদিন আর নেই। এ জন্যই বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না।
জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদের সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. শাহ আলম সিকদার, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. মহসিন ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র ব এনপ এই ড স ক র জন ত ক এল ক য় ন র বল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক